বড়সড় সাফল্য ভারত সরকারের। নীরব মোদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল লন্ডনে। দেশে লোকসভা ভোটের আগে আরও একটা বড়সড় সাফল্য পেল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল লন্ডনে। লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার আদালত সোমবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় ফের মোদী, ভোটের আগেই জানাচ্ছে সাট্টাবাজার
পিএনবি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এই নীরব মোদী। এখন বহাল তবিয়তে রয়েছে লন্ডনে। তার লন্ডনের বাড়িতে গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌঁছে দিয়েছে লন্ডন পুলিশ। তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব সাজিদ জাভেদ নীরব মোদীকে ভারতে ফেরত পাঠানোর ফাইলে সই করে দিয়েছেন। অর্থাৎ পিএনবি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নীরব মোদীকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে সব ব্যবস্থাই পাকা করে ফেলেছে ভারত সরকার। মার্চের ২৫ তারিখে তাকে আবার লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার আদালতে তোলা হবেই বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ মোদীর সঙ্গে সবাই চৌকিদার, অদ্ভুত প্রচার বিজেপির
পিএনবি-তে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসে বিখ্যাত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর। সারা পৃথিবী জুড়ে তাঁর হিরের গয়নার খ্যাতি রয়েছে। শুধু বলিউড নয়, হলিউড, এমনকী রাজা-মহারাজার পরিবারের লোকেরাও তাঁর গয়না পরেছেন।
২০১১ সালে মুম্বইয়ে পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে কোনও নিয়মকানুন ছাড়াই বিরাট অঙ্কের ঋণের গ্যারান্টি হাতিয়ে নেয় নীরব ও তাঁর সংস্থা ফায়ারস্টার ডায়মন্ড। লক্ষ্য ছিল হংকং থেকে হিরে কেনা। যার মানে, টাকা মেটানো না হলে তার দায়িত্ব ব্যাঙ্কের। এক্ষেত্রে লেটার অফ আন্ডারটেকিং করিয়ে নেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কের ভিতরের লোক দিয়ে। সেই থেকে কেলেঙ্কারি শুরু।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের পর ভারতের অংশ হবে পাকিস্তান, ঘোষণা আরএসএস নেতার
ঘটনা জানতে পেরে তদন্তে নামে পিএনবি। জানা যায়, ব্যাঙ্কের ভিতরের কর্মীদের ধরে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। মোট জালিয়াতি হওয়া অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১০ জনকে সাসপেন্ড করেছে ব্যাঙ্ক। বিষয়টি সিবিআইকে জানানো হয়। সিবিআই তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যেই লন্ডনে পালান নীরব মোদী।
আরও পড়ুনঃ বিরোধী মহিলা প্রার্থীদের ‘মাল’ সম্বোধন করে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ ফিরহাদের
এখন, ব্রিটিশ সরকার তাকে ভারতে ফেরানোর ব্যপারে সবুজ সংকেত দেওয়ায় আদালতের নির্দেশও ভারত সরকারের পক্ষেই যাবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেটা হলে বিজয় মালিয়ার পর নীরব মোদীকেও ভারতে আনার রাস্তা অনেকটাই পাকা হয়ে যাবে।
দেশে লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে যে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়াটা নতুন একটা ইস্যু দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ মমতা কি পাকিস্তানের কণ্ঠ, বিতর্কিত প্রশ্ন নিৰ্মলার
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।