হাতেনাতে ‘শিক্ষা’, বিজেপিকে আটকাতে জোট ভেঙে; জোর করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন উদ্ধব। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায়; ম্যাজিক ফিগার ১৪৫। গত বিধানসভায় বিজেপি-শিবসেনা জোট; জয়ী হল ১৬২টি আসনে। ১০৬ টি আসন পায় বিজেপি; ৫৬ টি আসন পায় শিবসেনা। কংগ্রেস ও এনসিপি-র জোটের দখলে যায়; ১০০টি বিধানসভা কেন্দ্র। অন্যান্যের ঝুলিতে যায় ২৬টি আসন। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৫ এর; অনেক বেশি পেয়েও বিজেপি শিবসেনার সরকার হয়নি। কারণ মাত্র ৫৬ টি আসন পেয়েও; মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়ে; জোট ভেঙেছিলেন উদ্ধব।
মহারাষ্ট্রে এখন ঘোর সঙ্কটে; শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার। শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক-মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের সঙ্গেই আছেন; ৪৪ এর বেশি বিধায়ক। আরও বিধায়করা যোগ দিচ্ছেন তাঁর সঙ্গে। তবে এখনই ইস্তফা দিচ্ছেন না; দলের বিক্ষুব্ধরা চাইলে তিনি ইস্তফা দিতেও রাজি; বলেছেন শিবসেনা সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার সন্ধেয় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে উদ্ধবের বার্তা; “আমি ইস্তফা দিতে তৈরি; মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে মাতশ্রীতে চলে যাব। তবে আমার সামনে সামনাসামনি এসে; আপনাদের কথা বলতে হবে”।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন কিভাবে ‘অনায়াসে’ জিতে, দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হবেন দ্রৌপদী মূর্মু
নিজের বক্তব্যে বিক্ষুব্ধদের খোঁচা দিয়েছেন উদ্ধব; সেই সঙ্গে উ’সকে দিয়েছেন মারাঠী অস্মিতা। বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আপনারা কি আমাকে নিশ্চিত করে বলতে পারেন; যে পরের মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনা থেকে হবে? কে মুখ্যমন্ত্রী হল; সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। শিবসেনার কেউ হবে কি”? মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমার দলের একজন নেতা অসমে গিয়ে আমাকে বলছেন; আমরা নাকি হিন্দুত্ব ভুলে গিয়েছি”।
আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছে বিজেপি, শিবসেনা বি’দ্রোহী বিধায়করা পৌঁছে গেলেন মহারাষ্ট্র থেকে অসমে
উদ্ধবের আরও দাবি, “শিবসেনা আর হিন্দুত্ব একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ; শিবসেনা কখনও হিন্দুত্ব ছাড়বে না। আমি বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শকে; আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি”। এদিকে একনাথ শিন্ডেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়; শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করলেন তাঁর সঙ্গে থাকা শিবসেনা বিধায়করা। এই নিয়ে একটি রেজোলিউশনও পাশ করা হয়েছে; সঙ্গে থাকা ৪৬ বিধায়ক; সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, মুম্বই থেকে আরও ২জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক; রওনা হয়েছেন গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে।