The News বাংলা, দিনহাটা: ফের আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ। ফের ভাঙল তাঁর গাড়ির কাচ। নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে ও তাঁর গাড়ি বের করে নিয়ে যায়। ঘটনা কোচবিহারের সিতাইয়ে।
রথযাত্রার আগের দিনেই গাড়ি ভাঙচুর কোচবিহারে। কোচবিহারে শুক্রবার থেকে শুরু বিজেপির রথযাত্রা। আর তা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আদালতে আপাতত রথের লড়াই নিয়ে রায় দিয়েছে রাজ্য সরকারের দিকেই।
আর এই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিল কোচবিহারে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা। দিলীপের কনভয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ির কনভয় বের করে নিয়ে যায়। না হলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা ছিল।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টে জিতে মোদীর ‘রথ যাত্রা’ আটকালেন মমতা
কোচবিহারের মাথাভাঙায় সিতাই মোড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়ে এই হামলা হয়। গাড়ির সামনের কাচ ও পাশের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান দিলীপ ঘোষ। তাঁর সারা শরীর কাচের গুঁড়োয় ভরে যায়।
দিলীপের গাড়িটি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রমণ হয়েছে ওই কনভয়ে থাকা অন্যান্য সব গাড়িতেই। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। তাঁর অভিযোগ এই আক্রমণের পিছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি বাইকেও। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। দিলীপ ঘোষের উপর এই হামলা তারই প্রমাণ। এই ঘটনা আরও ঘটবে। আর এই জন্যই গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা।
আরও পড়ুন: ‘জগন্নাথের রথযাত্রা নয়, বিজেপির ফূর্তি করার রথযাত্রা’ শুভেন্দু অধিকারী
বিজেপির বক্তব্য, রথযাত্রার কর্মসূচি বন্ধ করতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সেটা সম্ভব হবে না। সাধারণ মানুষের উৎসাহে রথযাত্রা হবেই। বিজেপির আরও অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলা চলে এবং পুলিশ হাত গুটিয়ে থাকে।
যদিও তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, এটা বিজেপি র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মুকুল রায় শিবির ও দিলীপ ঘোষ শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই জানান তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এটা পাগলের প্রলাপ। তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই তাঁর উপর হামলা করেছে বলেই জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মমতার অনুমতি নেই, মোদীর রথের দড়ি কলকাতা হাইকোর্টের হাতে
স্থানীয় সূত্রে দাবি, পুলিশের কাছে খবর ছিল দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা হতে পারে। কেননা বুধবার থেকেই এলাকায় বাঁশ নিয়ে মিছিল করেছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রথমে দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলা করা হয়। পরে পুলিশের সামনেই কনভয়ে থাকা প্রতিটি গাড়িতে বাঁশ দিয়ে হামলা চলে। কনভয়ে সাতটি গাড়ি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতার পদে ইস্তফা, বিজেপির ‘গনতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’য় কেপিপি সভাপতি
তবে পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলা হওয়ায় প্রশ্নের মুখে জেলা পুলিশ। ১ ঘন্টা ধরে দিলীপ ঘোষের কনভয়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও কেন কোন ব্যবস্থা নিল না জেলা পুলিশ, উঠছে প্ৰশ্ন। ইতিমধ্যেই দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।