“দল পাশেই আছে”; ঘরে ফিরেই পরেশ অধিকারীকে সংবর্ধনা তৃণমূলের। দলের নেতাকে স্বাগত জানাতে; মেখলিগঞ্জে পুষ্পবৃষ্টি তৃণমূলের। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে বাগডোগরা হয়ে; মেখলিগঞ্জে নিজের বাড়ি ফেরেন পরেশ। মেখলিগঞ্জে পা রাখার পরই; স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে সংবর্ধনা দেন। মেখলিগঞ্জের নৃপেন্দ্রনারায়ণ মেমোরিয়াল হলে, তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে; একটি বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন; “তৃণমূল আমার পাশেই আছে”।
এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে, তাঁর আইনি লড়াই চলবে; বলেও জানিয়েছেন পরেশ অধিকারী। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এই কয়েক দিনে দেখা গেল; কে দলের আসল লোক আর কে নকল লোক। প্রতি মুহূর্তে মেখলিগঞ্জ থেকে; আমাকে ফোন করা হচ্ছিল। উপরে ভগবান আছেন; এখন আর কলকাতা যাওয়ার দরকার নেই আমার। কলকাতার তৃণমূল নেতারা; আমার সঙ্গে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমাদের সঙ্গে আছেন; প্রতিটা বিষয় খোঁজখবর নিচ্ছেন ওঁরা”।
আরও পড়ুনঃ ম্যাজিক, তেলের দাম কমল অথচ মানুষ তা দেখতে পাচ্ছে না
এসএসসি কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের জেরা ও মেয়ের চাকরি যাওয়া; একের পর এক ঘটনায় জেরবার রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারী অবশেষে বাড়ি ফিরলেন। মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে; সোজা নিজ নির্বাচন ক্ষেত্রের অন্তর্গত কোচবিহারের হলদিবাড়িতে চলে আসেন তিনি। স্থানীয় রাধাগোবিন্দ মন্দিরে; পুজো দেন। মেয়ের চাকরিতে নিয়োগের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে; “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন”, বলে তা এড়িয়ে যান তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী।
এদিকে, পরেশ অধিকারী ঘরে ফেরার আগের দিনেই; অঙ্কিতা অধিকারীকে বরখাস্তের চিঠি সোমবার পৌঁছে গিয়েছে স্কুলে। বাড়ির পাশের ইন্দিরা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনারায় বসুনিয়া জানিয়েছেন; “আদালতের লিখিত নির্দেশ পেয়েছেন; স্কুল পরিচালন কমিটি বসে শীঘ্রই আলোচনা করবে এব্যাপারে”।
আরও পড়ুনঃ বিপদে পার্থ পরেশ অনুব্রত, তৃণমূলের তিন নেতার সম্পত্তির দিকে নজর দিল সিবিআই
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা। বাবার প্রভাব খাটিয়ে মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও; চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল অঙ্কিতার বিরুদ্ধে। অঙ্কিতা যোগ দিয়েছিলেন, মেখলিগঞ্জে বাড়ির কাছেই; ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ে। এরপর আদালত নির্দেশ দিয়েছে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত; ও নিয়োগের পর থেকে প্রাপ্য বেতন ফেরত দিতে। সেই চিঠিই সোমবার পৌঁছে গিয়েছে স্কুলে; শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল।