টলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা; বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের বিয়ে নিয়ে; মেতে উঠেছে টলিউড। ঘোষণা অনুযায়ী; টলিপাড়ায় তিনিই প্রথম বলিউড কায়দায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করবেন। নুসরাত জাহানের বিয়ে নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে।
বিয়ের সব অনুষ্ঠান হবে তুরস্কের বোদরুম শহরে; পাম অ্যাভিনিউয়ের ইডেন ইম্পেরিয়ালে। তিন দিন ধরে হবে; বৈবাহিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ১৯ জুন বিয়ে করছেন নুসরাত। তার আগে; ১৫ জুন নুসরাত তার পরিবারের সাথে পাড়ি দেবেন তুরস্কে। ১৭ জুন পুল পার্টির আয়োজন; ১৮ জুন হবে মেহেন্দি ও সংগীতের অনুষ্ঠান। ২০ জুন রাতে থাকছে ‘হোয়াইট ওয়েডিং ফরমাল’।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে, সাফ জানিয়ে দিল জুনিয়ার ডাক্তাররা
এর মধ্যেই অনেকের কাছেই পৌঁছে গেছে; নুসরাতের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র। কলকাতায় নায়িকার পার্ক সার্কাসের বাড়ি জুড়ে এখন ব্যস্ততা। নুসরাতের বিয়েতে সবসময়, সব আয়োজনেই উপস্থিত থাকছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু; যাদপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। থাকছেন অভিনেত্রীর স্কুলের বেশকিছু বন্ধু-বান্ধবী। আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে টালিগঞ্জের বেশ কিছু তারকাকেও।
নুসরাত জাহানের হবু স্বামী নিখিল জৈন। কলকাতার ছেলে তিনি। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। নিখিলের সঙ্গে নুসরাতের আলাপ গত বছর। নিখিল জৈনের শাড়ির ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছিলেন নুসরাত জাহান। কাজের সূত্রেই তাদের পরিচয়। অল্প দিনেই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। এর পর তারা দুজনে; বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আমেরিকায় তারা বাগদান পর্ব সেরে ফেলেন।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তলব রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর
বিয়ের পর ইউরোপের কোনো একটি জায়গায়; মধুচন্দ্রিমায় যাবেন নবদম্পতি। নুসরাত জাহান ও নিখিল কলকাতায় ফিরবেন ২৫ জুনের আগেই। কারণ ২৫ জুন দিল্লিতে সংসদ সদস্য হিসেবে; লোকসভার প্রথম অধিবেশনে যোগ দেবেন তৃণমূলের এই নেত্রী।
৪ জুলাই কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে; রিসেপসন অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন জৈন দম্পতি। সেখানে বলিউড, টালিউডের তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানা গেছে। আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। থাকবেন অরুপ বিশ্বাস, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।
কিছুদিন আগেই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট কেন্দ্র থেকে; সাংসদ নির্বাচিত হন নুসরাত। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই এমপি হয়ে সংসদে যাচ্ছেন তিনি। প্রথমে ভোটে জয়; তারপর নিকাহ; সবমিলিয়ে নুসরাতের জীবনে এখন মধুচন্দ্রিমা।