ক্ষমতায় এসে সম্পত্তি বেড়েছে বহুগুণ, মামলায় গোয়েন্দাদের বাদ দিতে আদালতে মন্ত্রীরা। “আমরা চোর নই”, অথচ বেজায় ভয় গোয়েন্দাদের। “আমরা শুধুই রোজগার করেছি”, অথচ সেটা খতিয়ে দেখতে ইডি ঢুকলেই আপত্তি। শাসক দল তৃণমূলের ১৯ জন নেতার সম্পত্তি এত ব্যাপক হারে বাড়ল কি করে? এই সংক্রান্ত মামলায় এবার ডিভিশন বেঞ্চে হাজির তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। দাবি, বাদ দিতে হবে ইডিকে। ইডিকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন, মন্ত্রী অরুপ রায়, ফিরহাদ হাকিম এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
কী ভাবে অফিসিয়ালি এত ব্যপক হারে বাড়ছে, শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ এক মামলাকারী। আবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১১ সাল থেকে নেতা-মন্ত্রীদের নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি।
সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করা হয়েছে তাতে নাম আছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, স্বর্ণকমল সাহা, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, অমিত মিত্র, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুনঃ বাবাকে মেরেছিল ‘অনুব্রতর দল’, কেষ্টদার জন্য চোখে জল তৃণমূলে ‘গদি’ পাওয়া হৃদয়ের
২০১৭ সালে দায়ের হওয়া এই মামলায়, আগেই যুক্ত ছিল আয়কর দফতর। দুদিন আগে এই মামলার শুনানিতে, ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট-কে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ইডিকে এই মামলায় যুক্ত করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে, নেতা-মন্ত্রীরা বলেন, “রোজগার করাটা কোন অন্যায় নয়। আমরা রোজগার করেছি, কোন দুর্নীতি নয়”। আর এদিন অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায়, আদালতের দ্বারস্থ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়। কি কারণে?
অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায়, ইডি-কে বাদ দেওয়ার আর্জি জানান হয়েছে আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিন মন্ত্রী। রোজগার করেছি কোন দুর্নীতি নয়, কিন্তু কোন গোয়েন্দা সংস্থাকে এই মামলায় নেওয়া যাবে না, এটাই আবেদন।