‘রাজনৈতিক ইজ্জত’ ধুলোয় মিশিয়ে, অনুব্রতকে ইঁদুরের মত ‘গরু কেসে’ ধরল সিবিআই। অনেক টালবাহানার পর গরু পাচার মামলায়, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে হানা দেয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দেড়ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। যদিও সিবিআই এখনও অফিসিয়ালি, গ্রেফতারের কথা জানায়নি।
সূত্রের খবর, আজই আসানসোল আদালতে পেশ করা হতে পারে অনুব্রতকে। তবে বাড়ি থেকে বের করার পর কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তৃণমূল নেতাকে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছুই জানায়নি সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা, দুর্নীতির দায়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে।
আরও পড়ুনঃ চাকরি চুরি কেসে পার্থর পর এবার গরু চুরির মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল
আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে, বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে, বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন, সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই, গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতাকে।
গরুপাচার মামলায় ১০বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯বার হাজিরা এড়ায়, তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুধু সায়গলেরই ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে।