আশঙ্কায় গোটা পৃথিবী, ইউক্রেনের জাফোরজিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

430
Russia Ukraine Crisis Fire Nuclear Power Plant
আশঙ্কায় গোটা পৃথিবী, ইউক্রেনের জাফোরজিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

আশঙ্কায় গোটা পৃথিবী; ইউক্রেনের জাফোরজিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন। ইউক্রেনের জাফোরজিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে।। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার দাবি; জাফোরজিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের চারপাশে গুলি চালাতে শুরু করে রুশ সেনা; এরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। জাফোরজিয়ার এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ হলে; তা চেরনোবিলের তুলনায় দশগুণ বেশি ভয়ানক হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন।

১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিস্ফোরণকে; মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগ-ক্ষতি ও মৃত্যু হিসেবে মনে করা হয়। যুদ্ধ শুরুর ২-৩ দিনের মধ্যেই, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন; রুশ সেনাবাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই বলে সতর্ক করেছেন যে; রুশ বাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রাখলে চেরনোবিলের মত আরেকটি বিপর্যয় আবারো ঘটতে পারে। প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক মন্তব্য করেছেন; রাশিয়ার ‘সম্পূর্ণ অর্থহীন হামলা’ এই মুহুর্তে ‘ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি তৈরি করেছে’।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সতর্ক করেছেন যে; রুশ বাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রাখলে চেরনোবিলের মত আরেকটি বিপর্যয় আবারো ঘটতে পারে। টুইটারে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি লিখেছেন; “আমাদের রক্ষকরা তাদের জীবন উৎসর্গ করছে; যেন ১৯৮৬ সালের মত ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না হয়”। “এটি পুরো ইউরোপের বিপক্ষে যুদ্ধের ঘোষণা”; ঘোষণা জেলেনস্কির। আলোচনায় সমাধান সূত্র আদৌ বেরোবে কি, না যুদ্ধ আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে; রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

এদিকে দ্বিতীয় দফার আলোচনাতেও; দুই দেশের যুদ্ধে কোন রফাসূত্র মিলল না। তবে যুদ্ধের মধ্যেই আলোচনার দরজা খোলা রাখছে; ইউক্রেন ও রাশিয়া। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার আলোচনার পর, রাশিয়া-ইউক্রেন উভয়পক্ষই জানিয়েছে যে; খুব শীঘ্রই তৃতীয়বার আলোচনার টেবিলে বসা হবে। পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে বেলারুশে দুই দেশের আলোচনায় সাধারণ মানুষের উদ্ধারের জন্য; মানবিক করিডোর গড়ে তোলার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ। সাধারণ মানুষকে উদ্ধার এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলিতে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে; এই করিডোর গড়ে তোলার ব্যাপারে রাশিয়া ও ইউক্রেন সম্মত হয়েছে।

যুদ্ধের আজ নবম দিন। দিনে দিনে ইউক্রেনের উপর আক্রমণের তেজ; আরও বাড়াচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের একের পর এক শহর; ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাল্টা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন সেনা।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন