শিশু যথেষ্ট মায়ের দুধ পাচ্ছে না; এ ধরনের ভুল ধারণা থেকেই প্রথম শিশুকে ফিডারে খাওয়ানো শুরু হয়। শুধু এ কারণেই শিশুরা কানপাকা; অ্যাজমা; ডায়াবেটিস; একজিমা; নিউমোনিয়া; অতিরিক্ত ওজন; প্রথম বছর বয়সে হঠাৎ মৃত্যু; শিশু বয়সের ক্যানসারসহ নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে।
ফর্মুলা খাবার শিশুর ছোট পাকস্থলীতে বেশিক্ষণ থাকে বলে সে আর তখন বুকের দুধ পান করতে চায় না; তাছাড়া ফিডারের নিপলের তুলনায় মায়ের নিপল খানিকটা শক্ত বলে তা পরিশ্রম করে পান করতে হয়; এতে শিশু বিভ্রান্তিতে পড়ে; সব মিলিয়ে মায়ের দুধের প্রবাহ স্তিমিত হয়ে আসে।
বোতলে বা ফিডারে খাওয়ানোর কারণে শিশুর কি কি বিপদ ঘটতে পারে
ফুস্ফুসের সমস্যা ফিডারের নিপলের সাহায্যে শিশুর ছোট মুখগহ্বরে ফর্মুলা দুধের ধারা কখনো সরু; কখনো জোরে নেমে আসে। শিশু যদি তাল মিলিয়ে তা গিলতে না পারে; তবে হঠাৎ গলায় আটকে যায়; এতে দুধ শ্বাসনালি বা ফুসফুসে ঢুকে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করে। শ্বাসরোধ ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুর মুখে যদি বোতল ধরিয়ে দেওয়া হয়, তবে দুধের ধারা মুখের ভেতর জমা হয়ে শ্বাসরোধ করতে পারে।
আরও পড়ুন ক্যানসারের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য লড়াই দুই বছরের শিশুর
দাঁতের ক্ষতি ফর্মুলা খাবার দীর্ঘদিন ধরে খাবার ফলে শিশুর দাঁতে গর্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কানপাকা শিশু বয়সে কানপাকা অসুখের অন্যতম প্রধান কারণ ফিডারে খাওয়ানো; ঘুমন্ত শিশুর মুখের ভেতর জমে থাকা ফর্মুলা দুধ সংযোগ নালি বেয়ে কানে প্রবেশ করে ও সংক্রমণ ঘটায়।
অতিরিক্ত ওজন ফর্মুলা দুধ বা খাবার খাওয়ানোর ঘনত্ব নির্ণয়; নানা ধরনের ব্র্যান্ডের ব্যবহার; খাওয়ানোর সময় নির্বাচন এক জটিল বিষয়; শিশুকে ওভার ফিডিং করানো হলে সে মেদবহুল হয়। পেট ব্যাথা ফিডার বা বোতলে খাওয়ানোর সময় নিপলের ছিদ্রপথে শিশুর পেটে বাতাস ঢোকে; তাতে শিশুর পেটব্যথা উপসর্গ তৈরি হয়। শিশুর অন্ত্রে নানা রকম জীবাণুর প্রবেশ ঘটে ফলে সে দুধের অ্যালার্জি-জনিত অসুখ ছাড়াও উদরাময় রোগে ভোগে। সঙ্গে দেখা দেয় কোষ্ঠবদ্ধতা।