The News বাংলা, কলকাতা: বিধানসভার ১১৯ বিধায়কের মধ্যে একজন শুধু সই করতে জানেন, বাকি প্রত্যেকেই শিক্ষিত। শুধু তাই নয়, তেলাঙ্গানা বিধানসভায় এবার বসবেন ২ জন পিএইচডি, ৫ জন ডাক্তার, ৯ জন ইঞ্জিনিয়ার, ১২ জন আইনজীবীও। দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত বিধানসভা হিসাবে উঠে আসছে তেলাঙ্গানা। বাংলা কবে পারবে? আদৌ কোনদিন পারবে কি?
আরও পড়ুনঃ শহীদ জওয়ানকে সম্মান নয়, সেনাকে পাথর ছুঁড়ে দেশদ্রোহীরাই ভারতে ‘নায়ক’
বিধানসভা ভোটে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তেলাঙ্গানা। বিধানসভায় সবাই শিক্ষিত। শুধু শিক্ষিত বললে কম বলা হবে। ১১৯ জনের মধ্যে ৭০ জনই কলেজে গেছেন। অর্থাৎ ৫৮.৮ শতাংশ বিধায়ক কলেজে পড়েছেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এর দল তেলাঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিই শুধু নয়, সব দলই শিক্ষিতদের ভোটে দাঁড় করিয়েছে।
‘অশিক্ষিত’ ও ‘আঙ্গুঠা ছাপ’দের রাজনীতিতে তেলাঙ্গানা বিধানসভা যেন একঝলক শিক্ষার হাওয়া। ১১৯ আসনের ভোট যুদ্ধে কেসিআর এর দল ৮৮ টা আসনে জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কংগ্রেস ১৯ টা, বিজেপি সহ বাকিরা পেয়েছে ১০ টা আসন। কিন্তু প্রত্যেকেই শিক্ষিত মানুষদের ভোটে দাঁড় করিয়েছে। মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেও শিক্ষিত প্রার্থীদের।
আরও পড়ুনঃ শুধু দিনে নয় দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যের টয় ট্রেন এবার সন্ধ্যাবেলাতেও
১১৯ জন বিধায়কের মধ্যে টিআরএস বা শাসক দলের ২ জন বিধায়ক ডক্টরেট। ২৬ জন বিধায়ক পোস্ট গ্রাজুয়েট। ৪৪ জন গ্রাজুয়েট। ৪৪ জন গ্রাজুয়েট বিধায়কের মধ্যে ১৮ জন আবার প্রফেশনাল গ্রাজুয়েট। বেশির ভাগ শাসক দলের বিধায়কই উচ্চ শিক্ষিত।
এখানেই শেষ নয়। তেলাঙ্গানা বিধানসভায় এবার বসবেন ২ জন পিএইচডি, ৫ জন ডাক্তার, ৯ জন ইঞ্জিনিয়ার, ১২ জন আইনজীবীও। ২৪ জন বিধায়ক উচ্চ মাধ্যমিক পাশ, ১৬ জন মাধ্যমিক পাশ, ২ জন ক্লাস এইট পাশ, ৩ জন ক্লাস ফাইভ পাশ। মাত্র একজন বিধায়ক শুধু সই করতে জানেন। বিজেপির বিধায়ক টি রাজা সিং শুধু সই করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ, নাসিকে দাম না পেয়ে আত্মহত্যা
বোঝাই যাচ্ছে ভারতের ‘সবচেয়ে নতুন’ রাজ্যের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। আগামীর ৫টা বছর শিক্ষিত বিধায়করা রাজ্যের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বিধানসভায় বসবেন সব শিক্ষিত মানুষ। রাজ্যের আমলারাও শিক্ষিত বিধায়কদের নির্দেশে রাজ্য শাসন করতে পারবেন।
রাজ্যের মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন শিক্ষিত প্রার্থীদের। তারও আগে শিক্ষিত মানুষদের প্রার্থী করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও রাজ্যের মানুষের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভোট দেওয়াও এর পিছনে অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
তবে শিক্ষার পিছনে অন্যদিকটাও আছে। তথ্য বলছে ১১৯ জনের মধ্যে ১০৬ জন কোটিপতি। আর ৪৭ জনের নামে রীতিমতো ক্রিমিনাল কেস আছে। তবে সেসব বিচারাধীন। তবে বিধানসভায় শিক্ষিত বিধায়কের সংখ্যা বাড়াটা রাজ্যের পক্ষে বেশ ভালো বলেই জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, কেরালা, গুজরাত, গোয়া, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব এমনকি ওড়িশাও শিক্ষিত মানুষদের বিধায়ক করেছে। রাজনৈতিক দল ও সাধারণ ভোটার দুই তরফই এই পরিবর্তনে এগিয়ে এসেছে। এইসব রাজ্যের উন্নয়ন পরিসংখ্যানও বেশ ভালো। দল না দেখে শিক্ষিত প্রাথীদের জেতাবার দায়িত্ত্ব নিচ্ছে ভোটাররাও। অবশ্যই ‘শিক্ষিত’ ভোটার।
আরও পড়ুন: ‘অশিক্ষিত রাজনীতিবিদ’ কলঙ্ক ঘোচাতে বুড়ো বয়সে মাধ্যমিকে
অসম্ভবকে সম্ভব করেছে তেলাঙ্গানা। বাংলার রাজনীতিবিদরা বলেন, ‘বাংলা নাকি গোটা ভারতকে পথ দেখায়’। শিক্ষিত মানুষদের ভোটে দাঁড় করিয়ে বাংলা কবে ছুঁতে পারবে তেলাঙ্গানাকে? সেই আলোর পথে কোনদিন কি হাঁটতে পারবে আমাদের বাংলা? তবেই উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগোতে পারবে বাংলা। শিক্ষিত মানুষদের হাতে রাজ্যের শাসনভার না গেলে ‘উন্নয়ন’ বা ‘আচ্ছে দিন’ কোনটাই দিনের আলো দেখবে না।
পড়ুন হাড়হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা