The News বাংলা, শান্তিপুরঃ শান্তিপুরে বিষ মদ কাণ্ড-এ মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত মৃত ১১। এর মধ্যে একজন মহিলা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই জানা গেছে। এখনও গুরুতর অসুস্থ ২৫ জন।
নদীয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে চোলাই মদ খেয়ে বুধবারই মৃত্যু হয় আটজনের। অসুস্থ ছিলেন প্রায় ৩০ জন। তারা কালনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সূত্রের খবর, মৃত ও অসুস্থ সবাই নৃসিংহপুরের চৌধুরী ইট ভাটার শ্রমিক এবং ওই এলাকার লোক। আজ আরও ৩ জনের মৃত্যু হল।
দেখে নিন হাসপাতালের দৃশ্যঃ
মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকরা স্থানীয় একটি চোলাই ঠেক থেকে চোলাই মদ কিনে খায়। এর পর একে একে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ দুই জনকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। বাকিদের কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মৃত্যু হয় ছয় জনের। বুধবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।
নৃসিংহপুর এলাকায় বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই এই বেআইনী বিষমদের ব্যবসা চলত। প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়তেন মানুষজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার প্রশাসনকে বলা হলেও কাজের কাজ হয়নি। তার জেরেই এই চরম পরিণতি বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনায়, তিন আবগরি অফিসার-সহ মোট ১১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দেখে নিন হাসপাতালের দৃশ্যঃ
শান্তিপুরের ঘটনা স্মৃতি উসকে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সংগ্রামপুর লাগোয়া এলাকায় বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় ১৭৩ জনের। আর এই ঘটনা নড়িয়ে দেয় গোটা রাজ্যকে। ঘটনার প্রায় সাত বছর পর রায় দেয় আদালত।
মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। বাকি তিন জন দুখে লস্কর, নজরুল লস্কর এবং খইরুল লস্করের হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সংগ্রামপুরের সেই ভয়াবহতার পর এদিন শান্তিপুরের ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী।
শান্তিপুরের বিষ মদ কাণ্ডে ঘটনার জায়গায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। চোলাই দোকানের মালিক পলাতক। বিষ মদ বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ১১ জন মৃতের মধ্যে একজন বিষ মদ বিক্রেতাও আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা রাজ্য সরকারের। এইভাবে মৃত্যুর ঘটনা কি চলতেই থাকবে? উঠেছে প্রশ্ন।