গায়ে সেনা জওয়ানদের মতো জলপাই রঙের ডোরাকাটা জামা। মাথায় টুপিতে লেখা ইন্ডিয়ান আর্মি। টুপির সামনে ইন্ডিয়ান আর্মির সিম্বল। ডিউটি করছেন ভোটকেন্দ্রে। একঝলক দেখে মনে হচ্ছে কোনও আধাসেনা জওয়ান বুঝি। কিন্তু ভালো করে ঠাহর করতেই মালুম হয়, সেনা পোশাকে ওই ‘জওয়ান’ আসলে রাজ্য পুলিসকর্মী। পিঠে থ্রি নট থ্রি ‘গাদা’ বন্দুক ফাঁস করল তাঁর পরিচয়।
আরও পড়ুনঃ রণক্ষেত্র কোচবিহার জেলাশাসক দফতর, বিজেপি প্রার্থীর অবস্থান তুলতে বিশাল পুলিশ
গায়ে সেনা জওয়ানদের মতো জলপাই রঙের ডোরাকাটা জামা। মাথায় টুপিতে লেখা ইন্ডিয়ান আর্মি। একনজরে দেখে বোঝা সম্ভব নয়, যে উনি আধাসেনা নন, বাংলার পুলিশ কর্মী। ডিউটি করছেন ভোটকেন্দ্রে। সাধারণ মানুষের দেখেই মনে হবে কোনও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান বুঝি। কিন্তু ভালো করে দেখলেই বোঝা যায় যে সেনাবাহিনীর পোশাকের ওই ব্যক্তিরা আসলে রাজ্য পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন
সন্দেহ হয় তাঁর পিঠে থ্রি নট থ্রি ‘গাদা’ বন্দুক দেখে। এই বন্দুক এখন বাংলার পুলিশ কর্মীরা ছাড়া কেউই এখন ব্যবহার করে না। অন্তত আধা সেনারা তো নয়ই। কারণ তাঁদের হাতে থাকে একে ৪৭ বা একে ৫৬ বা আধুনিক ইনস্যাস রাইফেল। তাই পুলিশ কর্মীর থ্রি নট থ্রি বন্দুকই তাঁর আসল পরিচয় ধরিয়ে দিল।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস
সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় এমন বেশ কিছু ছবি ধরা পড়েছে ভোটের সারাদিনে। এমন ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায়। সেনার পোশাকে ওই রাজ্য পুলিশকর্মীদের দেখে ভোটাররা প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বলেই মনে করেছে।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভবিষ্যতের ভূতকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেবে মমতা সরকার
পরে জানা গেছে, তারা রাজ্য পুলিশ কর্মী। পোশাক বিভ্রান্তির জের ধরে সামরিক বাহিনী নিয়ে ভোটারদের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। একজন রাজ্য পুলিশ কেন আধাসেনার পোশাক পরে ডিউটি করবেন এমন প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার বেনজির হুমকি রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
সেনা পোশাকে ওই রাজ্য পুলিশকর্মীকে দেখে ভোটাররা প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বলেই মনে করে। পরে জানা যায়, তিনি একজন রাজ্য পুলিশকর্মী। রাজ্য পুলিশের এক কর্মী কেন আধাসেনার পোশাক পরে ডিউটি করবেন, উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু এর উত্তর জেলা প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশন, কেউই দেয়নি।
আরও পড়ুনঃ মমতার ফোনের পরই ৫ টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
পুলিশ কর্মীরাও এই নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। তবে এই নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু উঠে গেছে। রাজ্য পুলিশের কর্মী হয়েও কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক? আধাসেনার আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রাখতেই কি? প্রশ্ন উঠেছে। তবে উত্তর দেবার জন্য রাজ্য পুলিশের কোন কর্তাকে পাওয়া যায় নি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।