বাংলায় স্কুল শিক্ষক নিয়োগে ঘোটালা, একের পর এক ‘মিডলম্যানের’ খোঁজ। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হয়েছে, ২ জন মিডলম্যান। কয়েকদিন আগেই প্রদীপ সিং বলে, এক মিডলম্যানকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁকে জেরা করেই, প্রসন্নকুমারের নাম পায় সিবিআই। এই প্রসন্নকুমার গ্রেফতারের পর ইতিমধ্যেই বেরিয়ে এসেছে, একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রসন্নকুমারের একাধিক ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে। যেমন রয়েছে ‘আইডিয়াল ভিলা’তেও। নিউটাউনে ফ্ল্যাটের পাশাপাশি, প্রকাশ্যে এসেছে হাওড়ায় ‘চলন্তিকা’ নামে হোটেলের নামও। তবে এর পাশাপাশিই এসেছে, আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যানই ছিলেন একে অন্যের প্রতিবেশি।
প্রসন্নকুমার রায় প্রভাবশালীদের সঙ্গে, অযোগ্য প্রার্থীদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজ করত। এভাবেই মোটা অঙ্কের রোজগার প্রসন্ন করত, বলে সিবিআই-য়ের অভিযোগ। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য, ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের কাছে এসেছে। তবে প্রসন্নের সঙ্গে ‘প্রভাবশালী’ কার কার যোগাযোগ রয়েছে, সেটিই এখন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ধৃত প্রসন্নর সল্টলেক অঞ্চলে গাড়ি ভাড়ার দেওয়ার একটি সংস্থা রয়েছে, সেই সংস্থাতেই কাজ করত প্রদীপও। আর সেই সংস্থার আড়ালেই, চলত এই নিয়োগ দুর্নীতি।
ইতিমধ্যে প্রদীপের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদ সিনহার, সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। দুজনের ফোনে দুজনের নাম সেভ রয়েছে, হয়েছে হোয়াটস অ্যাপ কল ও চ্যাট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-তে আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত, বলেও সিবিআই-য়ের দাবি। একে-একে সেই সব ‘রাঘববোয়াল’দের সামনে আনবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।