কৃষ্ণা দাস, The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে ভূমিপুত্র বিতর্ক চলছে। একই আসনে নিজের বিজয় নিশ্চিত বলে আশাবাদী দার্জিলিং-এর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সুরেন্দ্রজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া।
আর তাঁর এই বিজয়ে কোন ভূমিপুত্রের ভাবাবেগ কাজ করবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করে দিলেন। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে পাহাড়ের মানুষের সমর্থন চাইলেও, মমতাপন্থী বিনয় তামাং-এর কোন সমর্থন তার চাই না বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন এসএস আলুওয়ালিয়া।
এসএস আলুওয়ালিয়ার বক্তব্য, ‘এর আগেও ভূমিপুত্র হিসেবে ভাইচুং ভুটিয়াও এই একই আসনে তাঁর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, কিন্তু তার ফলাফল রাজ্য তথা দেশের কাছে স্পষ্ট’।
এবার তিনি ভূমিপুত্র বিনয় তামাংকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দার্জিলিং আসনে দাঁড়াবার চ্যালেঞ্জ করেছেন। কিন্তু তাতেও যে তিনিই এই আসনে জিতবেন, তা নিয়ে তিনি একশ শতাংশ আত্মবিশ্বাসি। আর তার এই বিজয়ে কোন বিনয় তামাং-এর সমর্থন দরকার নেই বলে স্পষ্ট করে দেন এদিন।
আরও পড়ুনঃ মায়ের পর এবার মোদীর বাবাকে নিশানা করে কুমন্তব্য কংগ্রেসের
তার বক্তব্য,’কে বিনয় তামাং? কেই বা আছে বিনয় তামাং-এর পেছনে? পাহাড়ে বিনয় আর পুলিশ ছাড়া আর কিছু নেই। আর যে মমতার সাথে আছে, তাঁর সমর্থন কেন নেবো আমি’ বলেও মন্তব্য করেন আলুয়ালিয়া।
এদিন তিনি ফের একবার বিমল গুরুংকে বকলমে সমর্থন করেন। পাহাড়ে বিমলের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’পাহাড়ের পপুলার সেন্টিমেন্ট বিমল গুরুং-এর সাথে আছে’।
আরও পড়ুনঃ রামমন্দির নয়, হিন্দু ক্ষোভ থামাতে অযোধ্যায় রামমূর্তির ঘোষণা যোগীর
সম্প্রতিকালে পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর পর থেকে দার্জিলিং-এর সাংসদ আলুয়ালিয়াকে আর পাহাড়ে উঠতে দেখা যায় নি বলেই অভিযোগ ওঠে। পাহাড়বাসির বক্তব্য, গত বছর খানেক আগে পৃথক রাজ্যের দাবীতে প্রায় মাস তিনেক ধরে অশান্তি চলে পাহাড়ে। ভাঙচুর, রক্তপাত সহ একাধিক অসংবিধানিক কার্যকলাপে আগুন জ্বলতে থাকে পাহাড়ে।
এরপর ধীরে ধীরে শান্ত হয় পাহাড়। কিন্ত সেইসময়ের পর থেকে বর্তমান সময়ে একবারও পাহাড়ে চড়তে দেখা যায় নি সাংসদ এসএস আলুয়ালিয়াকে। কিন্তু একাধিকবার তিনি জেলায় এলেও সমতলেই বিচরন করে ফের দিল্লি ফিরে গেছেন। পাহাড়ের মানুষের পাশে দাঁড়ান নি সাংসদ, বলে অভিযোগ ওঠে বহুবার।
আরও পড়ুনঃ ‘পহেলে মন্দির, ফির সরকার’ আশঙ্কায় ‘বাবরি মসজিদের’ অযোধ্যা
একই প্রশ্নের জবাবে আলুওয়ালিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, ‘আমি যখন পাহাড়ে যেতাম তখন কি করতাম, কি খেতাম, কোথায় যেতাম, তখন কেউ খোঁজ নিত না, তাহলে এখন কেন উদ্বিগ্ন সবাই’?
তাঁর আরও বক্তব্য, ‘পাহাড়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, আছে, থাকবে। পাহাড়ের লোকেরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে’। সংসদের শীতকালিন অধিবেশনে পাহাড়ের ১১টি জনজাতিদের বিলের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন,’অধিবেশন শুরু হলে সংসদই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।