অভিমানের প্রাচীর ও রাজনৈতিক সন্ন্যাস ভেঙে; ফের মমতার দলে শোভন সঙ্গে বৈশাখী। তৃণমূলে শোভন-বৈশাখীর প্রত্যাবর্তন; এখন কি শুধুই সময়ের অপেক্ষা? বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা। “অভিমানের প্রাচীর ভেঙেছে; রাজনীতি নিয়েও কথা হয়েছে”; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে মন্তব্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সবাইকে কিছুটা চমকে দিয়েই, হঠাৎই নবান্নে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে; বৈঠকের কথা ছিল তাঁদের। তবে কি ফের তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন; কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী? রাজনৈতিক মহলে তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
আরও পড়ুনঃ “সামাজিক শিক্ষাগুরু বলেই মমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে”, ঘোষণা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর
২০১৮ সাল থেকেই, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়-কে নিয়ে; সরগরম বাংলার রাজ্য রাজনীতি। ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে শোভন এবং রত্নার দ্বন্দ্বও; প্রকাশ্যে আসে ওইসময়ই। সূত্রের খবর, সেই সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজের কাজ নিয়ে; সতর্কও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা-শোভন সম্পর্কের অবনতির মাঝেই, কলকাতার মেয়রের পদ ও তারপর রাজ্যের মন্ত্রিত্ব পদ থেকে; ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ “গরু ছাগলে খেয়েছে ২২ লাখ টাকার গাছ”, তৃণমূল পঞ্চায়েতের দাবি শুনে হাসছে জনগণ
২০১৯ সালে ভাইফোঁটার দিন, আচমকাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে; গিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। তা নিয়ে সেই সময় জোর চর্চা শুরু হয়; দুজনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনাও মাথাচাড়া দেয়। তবে সেসব জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে; রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন-বৈশাখী। যদিও গেরুয়া শিবিরে বেশিদিন মন টেকেনি তাঁদের; শুরু থেকেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে ঝামেলা মতান্তর লেগেই ছিল। এরপরে বিজেপি ছাড়েন দুজনেই।
বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগই নেই; কোন দলেই নেই তাঁরা। এদিন নবান্ন থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর শোভন বলেন; “২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর আমি এখান থেকে চলে এসেছিলাম কিন্তু; এই নয় যে দিদির সঙ্গে আমাদের দেখা হয়নি। আমাদের মধ্যে যে ভালোবাসা-আবেগ রয়েছে; সেই অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছি। মমতাদির ইচ্ছে, চিন্তা-ভাবনা বাস্তবায়িত করাই; আমার কর্তব্য। মমতাদির কাছে আসব, একটু চা খাব; তাঁর নির্দেশ পালন করব। এটাই তো স্বাভাবিক”।