শিলিগুড়িতে সভা নিয়ে কাটল জটিলতা, ৩রা এপ্রিলই হচ্ছে মোদীর জনসভা। নির্বাচন কমিশনের চাপেই কাটল সব জটিলতা। নির্বাচন কমিশনের নজর পড়াতেই জটিলতা কেটে গেছে বলে জানান হয়েছে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে। কাওয়াখালিতে এসজেডিএ এর মাঠেই সভা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিল সেনা
আগামী ৩রা এপ্রিল রাজ্যে জোড়া সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। একটি কলকাতার ব্রিগেডে, অন্যটি শিলিগুড়ির রেল মাঠে। কিন্তু শিলিগুড়ির রেল মাঠে সভা ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অবশেষে জট কাটিয়ে কাওয়াখালিতে এসজেডিএ এর মাঠেই সভার অনুমতি দিল প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ খোদার কসম মোদীকে জেলে ঢোকাবো, এনসি নেতা জাভেদ রানার মন্তব্যে উত্তাল দেশ
১১ই এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগেই দুদিন রাজ্যে প্রচার করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম সভা ৩রা এপ্রিল ও দ্বিতীয় সভা ভোটের আগের দিন ১০ই এপ্রিল। ৩রা এপ্রিল দুপুর ১টায় শিলিগুড়িতে কাওয়াখালিতে এসজেডিএ এর মাঠে সমাবেশ সেরেই বিকেল ৩ টায় ব্রিগেডে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আরও পড়ুনঃ মোদীর মিশন শক্তির ঘোষণায় নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন হয়নি, জানিয়ে দিল কমিশন
শিলিগুড়ির মাঠ নিয়ে প্রথমেই জটিলতা তৈরি হয়। রাজ্যের অনুমতি না পেলে সভা নাও হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়। এরপরেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। কমিশনের হস্তক্ষেপেই অবশেষে মাঠ ব্যবহারের অনুমোদন মেলে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই নারদ মামলায় তৃণমূল নেতাদের চার্জশিট দেবে সিবিআই, খুশি পদ্ম শিবিরে
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ভারতে বিশেষ করে ৪২ লোকসভা আসন বিশিষ্ট বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। এর মধ্যে গতকালই বাংলা থেকেই ২৩টি, মানে রাজ্যের প্রধান শাসক দল হিসেবে বিজেপিকে তুলে ধরার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন অমিত শাহের।
আরও পড়ুনঃ ২৩ মে নয়, ভোটের ফল পিছতে পারে আরও ৬ দিন জানাল নির্বাচন কমিশন
বাংলা দখলের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২১টি নির্বাচনী জনসভার চিন্তাভাবনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। মোদী অমিত শাহ সহ অন্যান্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা প্রচার চালাবেন ২৩ আসনের লক্ষ্যে। শুক্রবার জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুনঃ দাঙ্গায় মদত দেওয়ার অভিযোগে হার্দিকের নির্বাচনে লড়তে নিষেধাজ্ঞা গুজরাট হাইকোর্টের
শুক্রবারই মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেয় সেনা। শুক্রবারই মুখ্য নির্বাচন অফিসারের দফতরে চলে এসেছে সেনাবাহিনীর ছাড়পত্র। ব্রিগেড বা ময়দান এলাকা সেনার অধীনে। তাই ব্রিগেডে সভা করতে গেলে সেনার অনুমতি নিতে হয়। বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে আগেই নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এদিন তা পাওয়া যায় বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ২৩ আসনেই জয় নিশ্চিত, বাংলা দখলের লক্ষ্যে অবিচল অমিত শাহ
ভোটের আগে বিভিন্ন সভার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার, এমনটাই অভিযোগ ছিল বঙ্গ বিজেপির। তাই ভোটের আগে এবার সরাসরি ব্রিগেডেই মোদীর সভার ডাক দেওয়া হয়। যাতে রাজ্য সরকারের কোন অনুমতি যাতে নিতে না হয়। ব্রিগেডে সভা করতে গেলে সরাসরি সেনার অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ পাক জঙ্গিদের সাহায্যকারি দেশের বিশ্বাসঘাতকদের খুঁজতে ৮ সদ্যসের গোয়েন্দা দল
এদিকে ব্রিগেড ও শিলিগুড়ি দুটি সভারই অনুমতি মেলায় আপাতত স্বস্তি বঙ্গ বিজেপিতে। এর ফলে বঙ্গ বিজেপি শিবিরে মোদীর ব্রিগেড ঘিরে সাজ সাজ রব চলছে। মোদীর দুটি সভার পরেই বাংলায় বিজেপির প্রচারে ঢেউ উঠবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ মদ বিক্রিতে ১০ হাজার কোটি টাকার সর্বকালিন রেকর্ড গড়ল মা মাটি মানুষের সরকার
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।