দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের জন্য আরও ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আসছে উত্তরপূর্ব রাজ্য থেকে। এই ২৫ কোম্পানির মধ্যে ১০ কোম্পানি মেঘালয় আর্মড পুলিশ। ৫ কোম্পানি নাগাল্যান্ড আর্মড পুলিশ। ৮ কোম্পানি সিকিম আর্মড পুলিশ। ও ২ কোম্পানি ত্রিপুরা আর্মড পুলিশ। এছাড়াও দ্বিতীয় দফার ভোটে আরও ২ জন পুলিশ অবজার্ভার নিয়োগ করা হল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ সেনার পোশাকে বুথে রাজ্য পুলিশ কর্মী, গাদা বন্দুক নিয়েই ধরা পরে গেলেন
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের জন্য আরও ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আসছে বাংলায়। উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে আসছে এই ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। মেঘালয় থেকে আসছে ১০ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। ৫ কোম্পানি আসছে নাগাল্যান্ড থেকে, ৮ কোম্পানি আসছে সিকিম থেকে এবং ২ কোম্পানি ত্রিপুরার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আসছে রাজ্যের দ্বিতীয় দফা ভোটের নিরাপত্তার কাজের জন্য।
আরও পড়ুনঃ রণক্ষেত্র কোচবিহার জেলাশাসক দফতর, বিজেপি প্রার্থীর অবস্থান তুলতে বিশাল পুলিশ
ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহল থেকে প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য গিয়েছে ২৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, তাঁরাও থাকছে দ্বিতীয় দফার ভোটে। রাজ্যে প্রথমে এসেছিল ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী যা আছে এখন কোচবিহারে। পরে আসে আরও ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের ঠিক আগেই আসে ৩০ কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর ভোটের আগের দিন আসে ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন
আগে থেকেই প্রথম দফার ভোটের জন্য আছে ৮৩ কোম্পানি বাহিনী। তাই মোট ৮৩+২৫=১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় ও সশস্ত্র বাহিনী এবং দার্জিলিং এ থাকা ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য। ফলে বলা যায় মোট ১১৪ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস
পাশাপাশি থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। এখনও পর্যন্ত রায়গঞ্জ এর জন্য আলাদা পুলিশ অবজার্ভার ও দার্জিলিং-জলপাইগুড়ির জন্য একজন আলাদা পুলিশ অবজার্ভার নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি যারা প্রথম পর্যায়ের জন্য ছিলেন, থাকছেন তাঁরাও। থাকছেন বিশেষ পুলিশ অবজার্ভার বিবেক দুবেও।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার বেনজির হুমকি রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
তবে দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই বিশেষ করে কোচবিহার লোক সভা কেন্দ্রের ভোটে যেভাবে রাজ্য পুলিশ থাকা বুথে হিংসা ও ভোটারদের বাধাদানের মত ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা থাকবে কিনা সেটাও এখন দেখার। আর এই ১১৪ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে কি আর দ্বিতীয় পর্যায়ের সব বুথে ভোট করা যাবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।