নরেন্দ্র মোদীর কাছে হেরে; দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে; পদত্যাগ রাহুল গান্ধীর। তবে সেই পদত্যাগপত্র গ্রহন করল না দল। এই সময় রাহুল দায়িত্ব ছেড়ে দিলে দলের মনোবল শেষ হয়ে যাবে; এই কারণেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহন করল না কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার ভোটের ফলাফলেই প্রমানিত হয়েছে; কংগ্রেসের ওপর ভরসা রাখতে পারেনি দেশবাসী। হাতে গোনা কয়েকটি আসন; গতবারের চেয়ে বাড়লেও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির; ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল দলটাই ৬বছর থাকবে না, তার আবার ৬বছর সাসপেন্ড, বললেন মুকুল
ভোটের ভরাডুবির দায় নিয়ে শনিবার; কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাপত্র পাঠালেন রাহুল। কিন্তু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ থেকে; পদত্যাগপত্র গ্রহন করল না তার দল। ভোটে খারাপ ফলের পরেই; রাহুল এবার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
রাহুল পদত্যাগপত্র পাঠালেও; কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা গ্রহণ করা হয়নি। দলেরই শীর্ষ নেতৃত্ব; এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গিয়েছে। দলের পরাজয়ের কারণগুলো খতিয়ে দেখতে; শনিবার দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দিল্লিতে মিলিত হয়। সেখানেই রাহুলের সিদ্ধান্তকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ডিএ, পে কমিশন না পাওয়ায় ভোটে জবাব দিলেন বাংলার সরকারি কর্মীরা
দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে; উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা বঢরা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ; কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জানানো হয়; সভাপতির পদ থেকে রাহুলের পদত্যাগ কোনও সমাধান সূত্র নয়। বরং কি কি কারণে নির্বাচনে দলের বিপক্ষে জনগন রায় দিয়েছে; সেই বিষয়ে আলোচনা বেশি জরুরি।
আরও পড়ুনঃ হারের ধাক্কায় তৃণমূলে ব্যপক রদবদলের সম্ভাবনা, আশঙ্কায় নেতারা
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে; কংগ্রেস মাত্র ৪৪ টি আসন দখল করেছিল। এবার মাত্র ৮ টি আসন বাড়িয়ে; জয়লাভ হয়েছে ৫২ টি আসনে। গতবারের মতো এবারেও; প্রধান বিরোধী দলের রকমা অর্জন করতে পারেনি কংগ্রেস।
এদিকে সামগ্রিকভাবে ১৮ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে; কংগ্রেস খাতাই খুলতে পারেনি। আর ঠিক সেই কারণেই; পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন রাহুল। তবে আপাতত তাঁকে নিরস্ত করেছেন; কংগ্রেস নেতারা।