The News বাংলাঃ ছুটির মরশুমে পুরী যেতে পারেন নি? বড়দিন থেকে নতুন বছরে, পুরীর সমুদ্র তীরে চলছে ‘স্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যাল’। বালি দিয়ে তৈরি শিল্প, মুগ্ধ করছে পর্যটকদের। পুরী যেতে পারেন নি তো কি হয়েছে! দেখে নিন সেই ‘স্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যাল’ এর ঝলক।
আরও পড়ুনঃ দেশপ্রেম বাড়াতে স্কুলের রোল কলে এবার ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় ভারত’
আরও পড়ুন: শুধুই হ্যাপি নিউ ইয়ার নয়, ১লা জানুয়ারী ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের কল্পতরু উৎসবও
বিখ্যাত স্যান্ড আর্ট শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক ও তাঁর ‘স্যান্ড আর্ট ইন্সটিটিউট’ পুরীর সমুদ্র তীরে এই ফেস্টিভ্যাল এর উদ্যোক্তা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে প্রথম অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সুদর্শন পট্টনায়েক, সমুদ্র সৈকতগুলো যেন তাঁর প্রতি আশীর্বাদ উজার করে দিয়েছে। বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে তাঁকে শিখিয়েছে, বালির নিপুণ ব্যবহারে কিভাবে সৃষ্টি করতে হয় কারুশিল্প।
আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য জয়, ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা
বর্তমান বিশ্বে শান্তির এক অসামান্য দূত তিনি। শান্তির বাণী সবার কাছে পৌছে দিতে তাঁর একমাত্র উপকরণ বালি। অতি দরিদ্র এক পরিবারে জন্ম নেওয়া সুদর্শন তাঁর সাত বছর বয়স থেকে নিজেই ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে শুরু করেন। নিজ শহর উড়িষ্যা রাজ্যের পুরী সৈকতকে বেছে নিয়েছিলেন তাঁর শিল্পের জন্য একাধারে স্কুল ও প্রদর্শনী মঞ্চ হিসেবে।
আরও পড়ুনঃ নতুন বছরে পেট্রোল ডিজেলের দাম রেকর্ড কমতে চলেছে
বিশ্বের পঞ্চাশটির বেশি দেশে তাঁর শিল্পের প্রদর্শনী হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনীগুলোতে তার বালির ভাস্কর্যগুলো অসাধারণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত সরকার দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক ‘পদ্মশ্রী’ উপাধিতে ভূষিত করে এই বালি ভাস্করকে।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে অনুপ্রবেশকারী হিংস্র পাকিস্তান ব্যাট সেনাকে খতম ভারতীয় সেনার
বিশ্বের সর্বোচ্চ ৪৮.৮ ফুট (১৪.৮৪ মিটার) বালির দুর্গ গড়ার জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখা হয় তাঁর। নিজের গড়া ‘স্যান্ড আর্ট ইন্সটিটিউটে’র প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে সহযোগী করে বিশ্ব শান্তি ধারণার ওপর ভিত্তি করে পুরীর সৈকতে ওই দুর্গ গড়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ চিন সীমান্তে ভগবান হয়ে পর্যটকদের উদ্ধার ভারতীয় সেনার
বালি দিয়ে তিনি যে শত শত কারু-বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন পুরীর দুর্গ তার একটি। সুদর্শনের ‘স্যান্ড আর্ট ইন্সটিটিউটে’র অবস্থানও এই পুরি সৈকতেই।
আরও পড়ুন: বছর শেষে আবার ইন্দ্রপতন, প্রয়াত চিত্র পরিচালক মৃনাল সেন
এই বালির ভাস্কর জানান যে, প্রায় প্রতিটি ধর্মের প্রতীক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য তিনি গড়েছেন। এ কাজগুলো তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে সল্টলেক নিউটাউনের বাড়িঘর
সুদর্শন জানান, তিনি তাঁর শিল্পের মধ্য দিয়ে অহিংসা ও সম্প্রীতির বাণী সবার কাছে পৌছে দিতে চান। তাঁর নিজ শহর উড়িষ্যায় বুহু রকম ধর্মীয় প্রতীক তিনি গড়েছেন।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে ৫৯ দিয়ে এসএসসি-র নতুন কীর্তি
ঈদ ও ক্রিসমাসসহ বড় বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে পুরী সমুদ্র সৈকতে বিশেষ বাণী সম্বলিত ভাস্কর্য গড়া হয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সুদর্শন ও তাঁর ছাত্ররা মিলে পুরী সৈকতে ১০০০ সান্তাক্লস গড়েছিলেন। এর থিম ছিলো, “বালির সান্তা শান্তি আনবে বিশ্বজুড়ে”।
আরও পড়ুনঃ নিজের দেশেই হামলা চালাতে ইরাককে অনুমতি দিলেন প্রেসিডেন্ট আসাদ
এর আগে ৪৫ ফুট উঁচু সান্তা ক্লজ গড়ে তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন। এর জন্য তাঁকে ১০০ টন বালি ব্যবহার করতে হয়েছিলো। মানবতার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার সবচেয়ে বড় নিদর্শন ছিলো ২০১৫ সালে গ্রীসের উপকূলে ভেসে আসা সিরিয়ান শরণার্থী শিশুর লাশের ভাস্কর্য।
আরও পড়ুনঃ নতুন বছরের প্রথম দিনেই চিতা বাঘ দেখতে গিয়ে বড় বিপদের সামনে
তিনি নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার টেরেসা, বেনজির ভুট্টো, মার্গারেট থ্যাচার, পোপ ফ্রান্সিস, মাইকেল জ্যাকসন সহ বহু জগদ্বিখ্যাত ব্যক্তি ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। ভাস্কর্যের মাধ্যমে ভারত-পাক সম্পর্ক উষ্ণ করার প্রচেষ্টাও চালিয়েছেন তিনি।
নতুন বছরে পুরীর সমুদ্র তীরে চলছে তাঁরই ‘স্যান্ড আর্ট ইন্সটিটিউট’ এর ‘স্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যাল’। পর্যটকরা যা দেখে আরও একবার অভিভূত।