পাকিস্তানে বিমানহানার প্রমাণ সরকারের হাতে, বাকি সব গুজব

600
প্রমাণ সরকারের হাতে, বাকি সব গুজব /The News বাংলা
প্রমাণ সরকারের হাতে, বাকি সব গুজব /The News বাংলা

পাকিস্তানে বিমানহানার যে ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে তা সম্পূর্ণ বেসরকারি। এর সঙ্গে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের কোন সম্পর্ক নেই। একথা পরিষ্কার ভাবে জানাল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স।

পরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে বিমানে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে বিরোধীদের

সকাল থেকেই বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেল স্যাটেলাইট থেকে তোলা কিছু ছবি বালাকোটের সার্জিকাল স্ট্রাইকের ‘প্রমাণ’ হিসেবে দেখাচ্ছে। সেই ছবি যে ভারতীয় বায়ুসেনার দেওয়া চিত্র নয়, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিল এয়ারফোর্স। এয়ারফোর্স সূত্রে খবর, তারা সব রকম প্রমাণ ভারতীয় সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে। ভারতীয় বায়ু সেনা এও জানিয়েছে, যে তারা কোনরকম ছবি এখনও সোশ্যাল মিডিয়া বা কোন সংবাদমাধ্যমকে দেয়নি।

মতুয়াদের বড়মার মৃত্যু রহস্যজনক, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

গত ২৬এ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে ভারতের ১২টি মিরাজ ফাইটার জেট ১০০০ কেজি বোমা ফেলে ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তানের মাটিতে গড়ে ওঠা সব জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প। ১৪ই ফেব্রুয়ারী পুলওয়ামায় ঘটে যাওয়া জঙ্গি আক্রমনের যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত। নিকেশ হয়েছিল প্রায়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গি, এমনটাই দাবি করা হয় সরকারি তরফে। ১৯ মিনিটের অপারেশনে মাজা ভেঙ্গে গেছে পাকিস্তানের, বিমান বাহিনী সুত্রে এমনটাই জানান হয়েছিল।

পুলওয়ামায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে সেনার তরফে অনেক সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেকের কাছেই মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। যদিও ভারতের বিমান হানায় বা দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে খতম জইশ জঙ্গি ডেরা ও জইশ জঙ্গিরা, স্বীকার করে জঙ্গিরাই।


কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এর রাস্তায় হাঁটলেন বিজেপি নেতা

তারপর, নানা তর্ক বিতর্ক উঠে আসে এই সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে। এই ব্যাপারে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ ও মৃতদের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকী পুলওয়ালার সন্ত্রাসবাদী হামলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মোদী সব কিছু জানতেন বলে মন্তব্য করেন। পাকিস্তানি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই সকল মন্তব্যকে হাতিয়ার করে।

ভোটের বাজার মাত করতে আসরে নামছে পিসি

এর দুদিন পরেই প্রমাণ দেখানোর দাবি তোলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতিও দাবি করেন যে দেশের নাগরিক হিসেবে ভারতের সকলের বালাকোট অপারেশনের তথ্য জানার অধিকার রয়েছে।

দেশদ্রোহী আখ্যা পেয়েও নিজের বক্তব্যে অনড় কংগ্রেস নেতা

সার্জিকাল স্ট্রাইক ২ যে আসলে ঘটেছে তার প্রমাণ দিতেই সংবাদ মাধ্যমগুলো স্যাটেলাইট থেকে তোলা কিছু ছবিকে প্রমাণ বলে দাবি করছে। তবে, ভারতীয় বায়ু সেনা সেই সব ছবিগুলোকে ভুয়ো এবং বেসরকারি বলে জানিয়ে দিয়েছে। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের সব ছবি শুধুমাত্র সরকারের হাতে আছে, জানিয়েছে বায়ুসেনা।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন