কলকাতা ঢাকা নৌ পরিবহন চালু হচ্ছে। মার্চের ২৯ তারিখ থেকেই চলবে এই পরিবহন ব্যবস্থা। আপাতত এই সার্ভিস পরীক্ষামূলকভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে।। তবে ভবিষ্যতে এই সার্ভিস সফল হলে বা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান হলে এটি পাকাপাকি ভাবে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই দুই দেশের ঘোষণা।
ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আরও একটি সুখবর রয়েছে। এখন থেকে কলকাতা থেকে ঢাকা ও ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়া যাবে নৌপথে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম বিপর্যয়ে উদ্বেগে কোটি কোটি ব্যবহারকারী
ভারত-বাংলাদেশের এক চুক্তির আওতায় চলতি মাসের ২৯ তারিখে পরীক্ষামূলক জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে ঢাকা-কলকাতা নৌ-রুটে। এম ভি মধুমতি নামের একটি জাহাজ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের পাগলা থেকে ছেড়ে বরিশাল-মোংলা-সুন্দরবন হয়ে কলকাতায় পৌঁছাবে। সেটি আবার ওই রুটেই ফিরে যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, আগামী ২৯শে মার্চ থেকে ঢাকার পাগলা মেরিএন্ডারসন জেটি থেকে রাত ৯ টায় এম ভি মধুমতি জাহাজটি ছেড়ে যাবে। জাহাজটি বরিশাল-মংলা-সুন্দরবন-আন্টিহারা-হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করবে।
আরও পড়ুনঃ ভারতের বিমান হানায় বালাকোটে ২০০ জঙ্গির মৃত্যু, ভিডিওতে স্বীকার পাক সেনার
ঢাকা-কলকাতা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজে কেবিন ভাড়া ফ্যামিলি স্যুট (দুই জন) ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি (যাত্রী প্রতি) ৫ হাজার টাকা, ডিলাক্স শ্রেণি (দুজন) ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার (যাত্রী প্রতি) ৮ হাজার টাকা এবং সুলভ শ্রেণি বা ডেক (যাত্রী প্রতি) ১৫০০ টাকা।
ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহী জাহাজ পরিবহনের বিষয়ে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই সার্ভিসটি চালু হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলায় ১৮২টি মাদ্রাসা বন্ধ করল পাকিস্তান
গত বছর এই সংক্রান্ত এক চুক্তিতে সই করে দুই দেশ। নৌযান চালুর ফলে ভারতের গঙ্গা এবং বাংলাদেশের যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র এই তিন নদী নৌযোগাযোগে সংযুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একনজরে কেবিন ভাড়া তালিকাঃ
ফ্যামিলি স্যুট (দুইজন)= ১৫০০০ টাকা। প্রথম শ্রেণি (যাত্রী প্রতি)= ৫ হাজার। ডিলাক্স শ্রেণি (দুইজন)= ১০ হাজার। ইকোনমি চেয়ার= ৮ হাজার। সুলভ শ্রেণি/ডেক (যাত্রী প্রতি)=১৫০০ টাকা।
এই সার্ভিস পরীক্ষামূলকভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে। তবে দুই দেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য এটা একটা দারুণ সুখবর বলেই জানিয়েছেন পর্যটকরা। খোঁজ খবর নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা করেছে ভ্রমণ সংস্থাগুলি। অচিরেই এই সার্ভিস দুই দেশের মানুষদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।