ভারত সরকারের সতর্কবার্তায় খিল্লি করেছিল; ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা। ভারত সরকারের সতর্কবার্তায় কানই দেয়নি; ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি; আর ভারত সরকার প্রথমবার তাদের লিখিত নোট দিয়ে সাবধান করেছিল গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি। ৯ দিন হাতে সময় ছিল ইউক্রেন ছাড়ার; বা মূল শহর ছেড়ে সীমান্তের দিকে সরে যাবার। ১৮ই ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার বিশেষ বিমান তৈরি রেখেছিল; ইউক্রেনে থাকা পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু টাকা খরচা করে কেউই দেশে ফিরতে চায়নি। যুদ্ধ শুরু হবার পরেও; ভারতীয়দের রোমানিয়া সীমান্তের দিকে চলে যাবার নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার। কানেই তোলেনি বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর বাবা-মা। ভারত সরকারের কথা সেই সময় শুনলে; তাহলে এই পরিস্থিতি আসত না।
যখন যুদ্ধ শুরুর আগে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে; ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফিরে আসার জন্য বারে বারে অ্যাডভাইসারি জারি করা হচ্ছিল; ফিরে আসার অনুরোধ করা হচ্ছিল; শুধু ভারত নয় পৃথিবীর শক্তিশালী সব দেশগুলো সতর্ক করে দিচ্ছিল; তখনও ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা এই নিয়ে ভারত সরকারের খিল্লি করেছিল। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন যারা ভারত সরকারকে দোষ দিতে ব্যস্ত; তখন তারা খিল্লি করছিল তাদের জন্য সরকারের অ্যাডভাইসারি; মিডিয়া তথা দেশের মানুষের উদ্বেগ নিয়ে। আজ এরাই চরম বিপদের মধ্যে থেকে; দেশে ফেরার জন্য সাহায্যের প্রত্যাশী।
ভারত সরকার এদের উদ্ধার করে, সরকারি খরচে ফ্রি তে দেশে ফিরিয়ে আনার পর; এদেরই কেউ কেউ বলছে; কেন আমাকে দিল্লি বা মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়া হল না। কেন আমাকে ফাইভ স্টার হোটেলে রাখা হল না; কেন বিমানের পরিষেবা আরও ভাল ছিল না!
আমেরিকা, জার্মানি, চিন, ব্রিটেন এই মুহূর্তে তাদের দেশের নাগরিকদের; ইউক্রেন থেকে ফেরানো যাবে না বলে পরিষ্কার ঘোষণা করে দিয়েছে। সেই জায়গায় একমাত্র দেশ ভারত; তাদের নাগরিকদের ফেরাচ্ছে। ৯০ শতাংশ নাগরিককে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই দেশে ফিরিয়েছে। এবং কেন্দ্র সরকারের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে যারা এখনও রয়ে গেছেন; তাদেরও আগামী ১-২ দিনে ফেরানোর পরিকল্পনা করেছে ভারত। তবে সত্য কথা তাঁদের জানা দরকার; যারা শুধুই সমালোচনা করছেন ভারতের।