The News বাংলা, বাঁকুড়াঃ একটা মাত্র বাক্য আর তাতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একটা মাত্র বাক্য হইচই ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর একটা মাত্র বাক্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় রাজনীতির কঙ্কালসার প্রকাশ্যে এনেছে বলেই মন্তব্য বিরোধীদের। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-য়ের একটি বাক্যই শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: মোদীর গেরুয়া রথকে আটকাতে পারল না মমতার সরকার
‘ওয়েলিং ইজ দ্যা বেস্ট পলিসি ফর ইজ ওন এক্সিসট্যান্স ইন পলিটিক্স’, মাত্র এই একটা ছোট্ট বাক্যই যে জেলার গণ্ডী ছাড়িয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে তা বোধ হয় কেউ কল্পনাই করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার শাসক দলের সাংসদের সৌজন্যে সেই ঘটনাই ঘটলো।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে
‘রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে তেল দিতেই হবে’, বৃহস্পতিবার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ‘ফেসবুকে’ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-য়ের এই ধরণের পোষ্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দলের যুব সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার ছাতনার সভা সেরে ফেরার পর দিনই দলের সাংসদের এহেন ‘বিতর্কিত’ পোষ্ট নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
অনেকে মনে করছেন বর্তমান সাংসদ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টিকিট নাও পেতে পারেন। একসময়ের দলের ‘সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড’ মুকুল রায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত সৌমিত্র খাঁ কি তাহলে এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? শাসক-বিরোধী সব মহলেই এখন এই গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে। পোস্টের নিচে তৃণমূল সমর্থকদের প্রশ্নের ঝড় বয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ শহীদ জওয়ানকে সম্মান নয়, সেনাকে পাথর ছুঁড়ে দেশদ্রোহীরাই ভারতে ‘নায়ক’
উল্লেখ্য, জেলায় ‘নব্য তৃণমূল’ হিসেবে পরিচিত সৌমিত্র খাঁ ২০১১ সালে কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধানসভায় যাওয়ার ছাড়পত্র পান। পরে ২০১৪ সালের আগে মূলতঃ মুকুল রায়ের সৌজন্যে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি কংগ্রেস ছেড়েও বেরিয়ে আসেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ঐ বছরই দলের টিকিটে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ডাক্তারের প্রোফাইল হ্যাক করে মহিলাদের ন্যুড ভিডিও পাঠাল ইঞ্জিনিয়ার
বৃহস্পতিবার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁর নিজস্ব ফেসবুকে ওয়ালে পোষ্ট করেন ‘ওয়েলিং ইজ দ্যা বেস্ট পলিসি ফর ইজ ওন এক্সিসট্যান্স ইন পলিটিক্স’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে তেল দিতেই হবে’। আর পোষ্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরী হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলে এখন কাকে কাকে তেল দিতে হচ্ছে? উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ২২ বছর পর ফের ভূস্বর্গে রাষ্ট্রপতি শাসন
এই বিষয়ে একাধিকবার এই মুহূর্তের’বিতর্কিত’ সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে টেলিফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ‘সুইচড্ অফ্’ থাকায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের তরফেও বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবিষয়ে যা বলার বলবেন’, বলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে।