The News বাংলা: সুনামি ফিরিয়ে আনল ১৪ বছর আগের স্মৃতি। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুনামির ভয়াল রূপ দেখেছিল গোটা বিশ্ব। যে দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩টি দেশের মোট ২লক্ষ ২৬হাজার মানুষ। ইন্দোনেশিয়াতেই মৃতের সংখ্যা ছিল ১লক্ষ ২০হাজারেরও বেশি। ১৪ বছর পর ফের একবার ক্রিসমাসের সময় সেই সুনামির তাণ্ডবলীলার সাক্ষী হল ইন্দোনেশিয়া। মৃত বেড়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০।
আরও পড়ুনঃ জাত ধর্মের পর এবার হনুমানের পেশা নিয়েও চর্চা রাজনীতিতে
স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ সুনামি আছড়ে পরে ইন্দোনেশিয়ার সুন্দা স্ট্রেইটের সৈকতগুলিতে। সময় যত বেড়েছে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫০। আহতের সংখ্যা প্রায় ১০০০। অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ। বহু বাড়ি ঘর ভেঙে পরায় ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন সাধারন মানুষ।
আরও পড়ুনঃ লোকঠকানির লোন মাপ, রাহুলকে লজ্জায় ফেলে আত্মঘাতী কৃষক
আরও পড়ুনঃ লোকঠকানির লোন মাপ, রাহুলকে লজ্জায় ফেলে আত্মঘাতী কৃষক
ইন্দোনেশিয়ান আবহাওয়াবিজ্ঞান, ক্লাইমেটলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সি (বিএমকেজি) জানিয়েছে, এ সুনামি কোনও ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়নি। সম্ভবত লামপাংয়ের মাউন্ট ক্রাকাতোয়া দ্বীপের আগ্নেয়গিরির প্রভাব থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘পেলেই ছিঁড়ে খাবে’, কঠিন লড়াই করে বেঁচে ইরাকের নারীরা
সুনামির পর এখনও অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মৃত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহু বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড়দিনের আগে এই রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে কার্যত হাহাকার পড়ে গিয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়।
আরও পড়ুনঃ ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসবাদীদের অত্যাচারে দেশ ছাড়ছে মানুষ
আরও পড়ুনঃ জেল হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
ইন্দোনেশিয়ার লামপাং প্রদেশের উপকূল এলাকায় ভয়াবহ এই সুনামিতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫০। জখম প্রায় ১০০০ জন। এ ছাড়া ১০০ জনের বেশি মানুষের এখনও কোনও খোঁজ নেই। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সে দেশের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা। এলাকায় বড় ধরনের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি অস্ট্রেলিয়ার
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরের বালারোয়া ও পেতোবো এলাকার ভূমিকম্প ও সুনামিতে নিখোঁজ হয়েছিলেন বহু মানুষ। মৃত্যু হয় প্রায় দেড় হাজার জনের। চলতি বছর অগস্ট মাসের ৫তারিখে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্য হয় প্রায় ৪৬০ জনের।
সুনামির পর এখনও অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহু বাড়ি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড়দিনের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটক ও ভ্রমণপিয়াসি মানুষ এখানে হাজির হয়েছিলেন। একটি রক ব্যান্ডের পুর দল সুনামির তোড়ে ভেসে গেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ উগ্র হিন্দুত্ববাদী নিশানায় নাসিরউদ্দিন, নিন্দা বাংলার বুদ্ধিজীবীদের
আরও পড়ুনঃ ২২ বছর পর ফের ভূস্বর্গে রাষ্ট্রপতি শাসন
ক্র্যাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের জেরেই ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার রাতে সুনামি আছড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুন্দা স্ট্রেট এলাকায় আচমকা সুনামি আছড়ে পড়ে এদিন রাতে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর আরেকটি সুনামির আশঙ্কায় মানুষকে উপকুল এলাকা থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে মানুষকে।
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা