এনআরএস কাণ্ডের জের, বুধবার রাজ্যের সব হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ

658
এনআরএস কাণ্ডের জের, বুধবার রাজ্যের সব হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ/The News বাংলা
এনআরএস কাণ্ডের জের, বুধবার রাজ্যের সব হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ/The News বাংলা

এনআরএস কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে চিকিত্সা পরিষেবা; বয়কটের ডাক দিলেন ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে; বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে; আউটডোর পরিষেবা বন্ধের ডাক দেওয়া হল। বুধবার ১২ ঘণ্টা আউটডোর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে; চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর্স ফোরাম।

একটা উস্কানি, একটা ফেসবুক পোস্ট; আর তাতেই মৃত্যুর মুখে এক জুনিয়ার ডাক্তার। ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়; মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে কোমায় যাবার মুখে। কারণ, একটা ফেসবুক লাইভ ও একটা পোস্ট। আর তাতেই ৮৫ বছরের এক সংখ্যালঘু রোগীর মৃত্যুর দায়ে; এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তাদের; ব্যপক মারধর করল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান প্রেমী যুবক আসিফের উস্কানিতে মৃত্যুর মুখে বাঙালি ডাক্তার

রবিবার রাতে ট্যাঙরার বিবি বাগানের বাসিন্দা মহম্মদ সাহিদকে (৮৫) এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ; সোমবার বিকেলের পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মহম্মদ সাহিদের মৃত্যু হয়। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে; এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে এনআরএস।

আরও পড়ুনঃ এন আর এস কাণ্ডে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অচলাবস্থা

প্রায় দুশোজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক লরি করে এসে; ইমারজেন্সিতে ঢুকে কর্তব‍্যরত ও যারা কর্ত‍ব‍্যরত ছিলেন না; তাদের উপর আক্রমণ করে। এর ফলে দুজন জুনিয়ার ডাক্তার গুরুতর আহত হন।

ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের মাথার ফ্রন্টাল বোনে; ডিপ্রেসড ফ্র‍্যাকচার হয়েছে এবং তার অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় কলকাতা সহ সারা রাজ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে; কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জুনিয়ার ডাক্তার সংগঠনগুলি।

আরও পড়ুনঃ প্রয়োজন হলে পশ্চিমবঙ্গে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন, জানালেন রাজ্যপাল

ডাক্তারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করা হয়; কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে।

শুধুমাত্র আউটডোর খোলা রাখা হয়। জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি সব হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ রেখে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটল চিকিত্সক ফোরাম। বুধবার চরম দুর্ভোগের মুখে পরতে চলেছেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন