মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি নন? ২০২৪ লোকসভা ভোটে, মোদী বিরোধী প্রধানমন্ত্রী মুখ কি তাহলে নীতীশ কুমার? বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পর থেকে, ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে, নিজের ইস্তফাপত্র দিয়ে দিয়েছেন নীতীশ। বিহারে সরকারিভাবে এনডিএ জমানার অবসান ঘটল। ২০২৪ এ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীত্ব মুখ হিসাবে, তাহলে কি নীতীশ কুমার-কেই তুলে ধরছে বিরোধীরা। দেশের রাজনীতিতে উঠে গেল এমনই প্রশ্ন।
বিহারে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট, ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র সঙ্গে, আরজেডি-কংগ্রেস-বাম-হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা। টার্গেট ১২২, বিহারে এবার গড়তে চলেছে, আরজেডি-কংগ্রেস-বাম-জেডিইউ সরকার। বিজেপি-সঙ্গ ছেড়ে ইস্তফা দিলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বাম কংগ্রেসের সমর্থনে বিহারের মসনদে, ফের লালু-নীতীশ জুটি? মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদে নীতীশ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী লালু-পুত্র তেজস্বী। আপাতত এমন সমীকরণ বিহারের সরকার গঠনে। এটাই কি অন্য রাস্তা দেখাচ্ছে বিরোধীদের? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির বিরুদ্ধে নীতীশ কুমারের সঙ্গে আরজেডি, কংগ্রেস, বাম, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা
বিগত কয়েকমাস ধরেই নীতীশের সঙ্গে, জোট শরিক বিজেপি-র টানাপোড়েন চলছিল। সংখ্যার জোরে নীতীশকে নামমাত্র মুখ্যমন্ত্রী রেখে, অমিত শাহের অঙ্গুলি-হেলনেই বিহারে জোট সরকার পরিচালনা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই আবহে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকও এড়িয়ে যান নীতীশ। এরপরেই বাম-কংগ্রেস সহ সব বিজেপি বিরোধী দল, নীতীশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী রেখে রাজ্যে নতুন সরকার গঠনে উদ্যোগী হয়। তাহলে কি নীতীশ এবার, বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবিদার?