অপ্রতিরোধ্য বিজেপি। জিতবে এবার সেই বিজেপি। ক্ষমতায় আসবে ফের নরেন্দ্র মোদী। না কোন জনমত সমীক্ষা বা ওপিনিওন পোল নয়। ভোটের আগেই এমন ফলের কথা জানাচ্ছে ভারতের সাট্টাবাজার। জুয়োর বাজারে মোদী আর বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার পক্ষেই বাজি ধরছেন মানুষ।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কার ঝুলিতে কটা আসন যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকগুলি সংস্থার জনমত সমীক্ষা সামনে এসেছে। এবার সমীক্ষার ফলপ্রকাশ করল রাজস্থানের যোধপুরের সাট্টাবাজার। নির্বাচন সংক্রান্ত ফলাফলের সম্ভাবনায় যাদের সমীক্ষা বহুক্ষেত্রেই মিলে যায়। এর আগেও অনেকবার এই সাট্টাবাজার এর ফলাফল মিলে গেছে।
আরও পড়ুনঃ মোদীর সঙ্গে সবাই চৌকিদার, অদ্ভুত প্রচার বিজেপির
সম্প্রতি রাজস্থান সহ সারা দেশে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনমত সমীক্ষা চালায় সাট্টাবাজার। তাদের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারই পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
সাট্টাবাজারের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি একক রাজনৈতিক দল হিসেবে ২৫০ টি আসন লাভ করতে পারে। আর ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করে ৩০০ থেকে ৩১০ টি আসন নিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপির এনডিএ জোট।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের পর ভারতের অংশ হবে পাকিস্তান, ঘোষণা আরএসএস নেতার
উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন সর্বভারতীয় মিডিয়ার সমীক্ষায় বলা হয়েছে বিজেপি এককভাবে ২০০ সিটের সামান্য কিছু বেশি আসন লাভ করতে পারে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেতে পারে ২৬৫ এর মতো আসন। সেক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার থেকে সামান্য কিছু দূরে আটকে যাবে বিজেপির এনডিএ জোট। সাট্টাবাজার যদিও আগেই বলেছিল এনডিএ জোটের প্রাপ্ত সম্ভাব্য আসন সংখ্যা ২৮০ টি।
আরও পড়ুনঃ বিরোধী মহিলা প্রার্থীদের ‘মাল’ সম্বোধন করে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ ফিরহাদের
কিন্তু এবার তারা জানাচ্ছে, এয়ার স্ট্রাইকের আগে প্রায় সমস্ত জনমত সমীক্ষায় এনডিএর সম্ভাব্য আসন সংখ্য কিছুটা কম প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে এয়ার স্ট্রাইকের পরেই বিজেপি তথা এনডিএর প্রতি জনসমর্থন হু হু করে বেড়েছে। যার ফলে ভোটের আসন সংখ্যায় একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে। ২৮০ থেকে এনডিএ জোটের প্রাপ্ত সম্ভাব্য আসন সংখ্যা হতে পারে ৩০০ থেকে ৩১০ টি।
আরও পড়ুনঃ মমতা কি পাকিস্তানের কণ্ঠ, বিতর্কিত প্রশ্ন নিৰ্মলার
আগের সমীক্ষায় সংখ্যাটা ম্যাজিক ফিগারের আশেপাশে থাকলেও এবার এনডিএর আসন সংখ্যা ৩০০ অতিক্রম করে ৩১০ অবধি আসন পেতে পারে বলে জানিয়েছে সাট্টাবাজার। সেক্ষেত্রে বিজেপি একক ভাবে পাবে ২৫০ টি আসন। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে আগে ১০০ টি আসন দেওয়া হলেও এখন কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ৭০ থেকে ৭২ এর মধ্যে আটকে যাবে বলে তারা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নিয়ে অশ্লীল ও বিতর্কিত মন্তব্য ক্ষিতির
সাট্টাবাজারের এই সমীক্ষা খুশীর খবর এনেছে গেরুয়া শিবিরে। অন্যদিকে এটা ভোটের আগে বিজেপির একটা নতুন চাল বলে এই সাট্টাবাজারের সমীক্ষা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এই সাট্টাবাজারের সমীক্ষা মেলে কিনা সেটা বোঝা যাবে আগামী ২৩ মে তারিখেই।
আরও পড়ুনঃ মিমি নুসরত এর চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।