গত ২৩ মে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চুড়ান্ত ফল ঘোষণা হয়েছে। পরপর দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি; প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে উপস্থিত হন বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সকল শরিক দল। এখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয় নরেন্দ্র মোদীকে।
সোমবার মায়ের আশীর্বাদ নেন মোদী। বারাণসী তে এদিন রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী। দলের এই বিশাল জয়ের পেছনে জনতার অসীম শক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন; ‘এই বিপুল জনসমর্থন আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও বিশেষ জাতি বা বর্ণ আমাকে জেতায়নি। আমাকে জিতিয়েছে দেশের জনতা।
তিনি বলেন জনতা জনার্দ্দনই ঈশ্বরের রূপ; এই নির্বাচনে অনুভব করলাম। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এত বেশি ভোট পড়েছে। এই দেশ পরিশ্রমের; আত্মমর্যাদার পুজো করে। এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন; ‘মহাত্মা গাঁধী; দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং রামমনোহর লোহিয়া; এঁদের আদর্শে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। এনডিএ এখন একটা বিশ্বাসযোগ্য আন্দোলনের নাম। অনেক নতুন সঙ্গী আছেন। মিথ্যাবাদীদের হাত থেকে আপনাদের সচেতন করা আমার দায়িত্ব।
তিনি বলেন; অহঙ্কার সরিয়ে রেখে কাজ করতে হবে। জাতীয় উচ্চাশা আর আঞ্চলিক প্রেরণা; এই দুই নিয়েই এগোতে হবে আমাদের। কোনও একটিকে উপেক্ষা করলে চলবে না। এটাই আমাদের নতুন স্লোগান।’
পাশাপাশি দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন; ‘দেশের সংখ্যালঘু মানুষের সঙ্গেও ছলনা করা হয়েছে। তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়নি। কাল্পনিক ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি দেশ থেকে ভেদাভেদ তুলে দেব। গরীব মানুষের টাকা নিয়ে নয়-ছয় করা হচ্ছিল। আমি এসে সেই সব কিছু বানচাল করে দিয়েছি।
মোদী বলেন; সরাসরি গরীব মানুষের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। এই নির্বাচনে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা কোনও জায়গা করে নিতে পারেনি। এই নির্বাচন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায় দিয়েছে। এই নির্বাচন ছিল ইতিবাচক; এই জনাদেশ সব অর্থেই ইতিবাচক।
যদি কোনও ভুল হয়; তবে তা মেনে নিয়ে; শুধরে নিয়ে আগে চলতে হবে। সমতা আর মমতা; এই দুই লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে। নির্বাচন বিভাজন তৈরি করে। শিবজ্ঞানে জীবসেবাই আমার লক্ষ্য’।