সেনাপতির মতই নেতৃত্ব দিলেন ‘চৌকিদার’। সারারাত জেগে পাকিস্তানে বিমান হানার নেতৃত্বে স্বয়ং ‘চৌকিদার’ নরেন্দ্র মোদী। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর দিনও রাত জেগে জঙ্গি খতমের নেতৃত্বে ছিলেন মোদী।
২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৯ এও সেই নরেন্দ্র মোদীই দিলেন নেতৃত্ব। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ১ এর মত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২ এর সময়ও প্রধানমন্ত্রী মোদী নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের দফতরে বসে গোটা অপারেশন ‘মনিটর’ করলেন।
আরও পড়ুনঃ বাজপেয়ীর মত ভুল করেননি, পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করলেন মোদী
মঙ্গলবার ভোরে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়েই শুধু নয়, পাকিস্তানের অন্তত ৪০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী। ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ বিমান আছড়ে পড়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও মূল পাক ভূখণ্ডে ৷ ১০০০ কেজি বোমা ফেলা হয় জঙ্গিঘাঁটি গুলিতে৷ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলে এই অভিযান৷ যে কারণে কম উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এমন বিমান ব্যবহার করা হয়৷ পাক রাডার এড়াতে এমন পদক্ষেপ নেয় ভারতীয় সেনা৷
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি মারল ভারতের বিমান
প্রায় ১০০০ কেজি বোমা ফেলে তারা। ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয় বালাকোট, মুজাফরাবাদ ও চকোটিতে জঙ্গিশিবিরগুলি। ২০ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করে ভারতে ফেরে বিমানগুলি। এই হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি সহ বহু জঙ্গিশিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা। পুরো ব্যাপারটা নিজে সাউথ ব্লকের ওয়ার রুমে বসে ‘মনিটর’ করলেন ‘চৌকিদার’ নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি করতে এসে গুলিতে ধ্বংস পাক গুপ্তচর ড্রোন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাদের প্রথম ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নামের সফল অভিযানে দুই পাক সেনা ও অন্তত ৪০জন জঙ্গি নিহত হয়। ভারতীয় কমান্ডোরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত অবস্থান করে। এ সময় পাকিস্তানের অভ্যন্তরের ভীমবার, লিপা, হটস্প্রিং ও কেলসহ অন্তত সাতটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় তারা। হামলার এই খবর পাক কর্তৃপক্ষকে ফোনে জানায় ভারত। প্রথমে অবশ্য এসব হামলার কথা উড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। পরে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।
আরও পড়ুনঃ ১৯ মিনিটের বিমান হানায় ধ্বংস জইশ ই মহম্মদের জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প
সেবারও পুরো ব্যাপারটা নিজে সাউথ ব্লকের ওয়ার রুমে বসে ‘মনিটর’ করেন ‘চৌকিদার’ নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় সেনারা নিরাপদে ভারতে ফিরে না আসা পর্যন্ত নিজে সেনাপতির মত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আর এবারও, ভোররাতে বায়ুসেনা যখন পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক করছে তখন মোদী নিজে সাউথ ব্লকের কন্ট্রোল রুমে বসে গোটা অপারেশন দেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ ভারতের চাপে নাভিশ্বাস পাকিস্তানের ফের একটা সুযোগ ভিক্ষা
অপারেশনের পর এই হামলা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইড়ুকে অবগত করান প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই। কীভাবে বালাকোটে পাক সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে ভারত হামলা চালিয়েছে তা জানান। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত প্রতিটা মুহূর্তে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়৷ ঝুঁকিপূর্ণ এই কর্মকাণ্ডে গোপনীয়তাই প্রধান হাতিয়ার। আর সেই অপারেশন সফল ভাবে সম্পন্ন করে জাতীয় নায়ক সেই ‘চৌকিদার’ই।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।