বুদ্ধ মমতার জেদে সব হারাল বাংলা; সাদরে নিয়ে গেল অসম। একসঙ্গে ১৭ টি ক্যানসার হাসপাতাল পেল; প্রতিবেশী রাজ্য অসম। সব ঠিকঠাক থাকলে; এই ১৭টি হাসপাতাল পেতে পারত আমাদের বাংলাও। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় ক্যানসার কেয়ার নেটওয়ার্কের উদ্বোধনে; একসঙ্গে হাজির নরেন্দ্র মোদী ও রতন টাটা। সাতটি হাসপাতালের উদ্বোধন ও চিকিৎসার জন্য আরও কয়েকটি ক্যানসার হাসপাতালের; ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তিনি ও টাটা গ্রুপের রতন টাটা। অসম সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে; ক্যানসার হাসপাতাল গড়ে তুলল; টাটা গোষ্ঠী।
অসম সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে; মোট ১৭টি ক্যানসার হাসপাতাল গড়ে তুলল; টাটা গোষ্ঠী। এই ১৭টি হাসপাতালই হবে; অসম সরকার ও টাটা ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে। এগুলি নির্মিত হচ্ছে; ৪ হাজার কোটি টাকায়। ডিব্রুগড়ে একটি ক্যানসার হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভার্চুয়ালি বরপেটা, তেজপুর, জোরহাট, দারাং, কোকড়াঝাড় ও লখিমপুরে; এই ছয়টি হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। এর পাশাপাশি সাতটি নতুন হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। সেগুলি তৈরি হবে; গোয়ালপাড়া, শিবসাগর, ধুবরি, নগাঁও, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া ও নলবাড়িতে।
ডিব্রুগড়ের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন; “আগে এমন একটা সময় ছিল; যখন সাত বছরেও একটা হাসপাতাল গড়া বিশাল ব্যাপার ছিল। কিন্তু, অসমে সাতটি নতুন হাসপাতালের উদ্বোধন হল একদিনে। আরও তিনটি হাসপাতাল নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে; এর পাশাপাশি আরও সাতটির শিলান্যাস করা হল। অসমে এধরনের একটা ক্যানসার কেয়ার নেটওয়ার্কের প্রয়োজন ছিল। কারণ, এই রাজ্য ও উত্তর-পূর্বের বাকি অংশে; বহু সংখ্যাক ক্যানসার কেস দেখা যাচ্ছে। আগে এরাজ্যের গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীদের চিকিৎসার জন্য; বাইরে যেতে হত। যেটা এবার আর হভে না”।
টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রতন টাটা বলেন; “অসমের ইতিহাসে আজকের দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; ক্যানসার রোগের চিকিৎসা ও যত্নের ক্ষেত্রে এটা অসমকে একটা উচ্চস্তরে নিয়ে যাবে। যা এই দেশের অন্য কোনও রাজ্যে হয়নি”।
এই প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন; “আগে অসমের ক্যানসার রোগীদের দিল্লিতে যেতে হত; চেন্নাই বা মুম্বইয়ে যেতে হত। কিন্তু, এখন থেকে আর তার প্রয়োজন পড়বে না। এই হাসপাতালগুলি শুধু অসমবাসীকে উপকৃত করবে না; গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান ক্যানসার কেয়ার সেন্টারে পরিণত হবে”।