মোদী সরকারের সমীক্ষায়, মহিলা কর্মসংস্থানে ‘ভারতসেরা’; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। হ্যাঁ, মহিলা কর্মসংস্থানে ভারতসেরা হল বাংলা। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি, গত পাঁচ বছরের সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দিল; মহিলা কর্মসংস্থানে দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলা পিছনে ফেলে দিয়েছে; নরেন্দ্র মোদীর গুজরাত ও যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ-কেও। এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অস্বস্তির মাঝেই; বড় খবর রাজ্যের জন্য।
২০২২ এ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে ৪৩.৭১ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে; যা ২০১৭ সালের জানুয়ারি-এপ্রিলের ৩৩.৬২লক্ষ থেকে ১০.০৯ লক্ষ বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বর ডিসেম্বরের থেকেও, ২০২২ এর জানুয়ারি-এপ্রিলে; বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে বাংলায়। যা পরিস্থিতি তাতে অর্থনীতি মাপকাঠিতে মহিলা কর্মসংস্থানের; প্রায় সবকটি বিভাগে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। গত পাঁচ বছরের নিরিখে হোক; বা গত এক বছরের হিসাবে।
মোদীর গুজরাতকেও, মহিলা কর্মসংস্থানে টেক্কা দিয়েছে; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। গত পাঁচ বছরের হিসেবে গুজরাতে মহিলা কর্মসংস্থান বেড়েছে ৮.৬৭ লক্ষ; যা বাংলার তুলনায় প্রায় ১.৪২ লক্ষ কম। গত বছরে সবচেয়ে বেশি রোজগার হারিয়েছে তামিলনাড়ু; তারপরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটক।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেসের হাল ফেরাতে ‘টাস্ক ফোর্স’ গড়লেন সনিয়া, ঠাঁই পেলেন না রাহুল
করোনা-কালে ভারতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ; মহিলাদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। এই সময় বাংলার এই স্বীকৃতি-তে; উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকার। সবচেয়ে বড় কথা, বেকারত্ব নিয়ে দেশের একমাত্র সমীক্ষক সংস্থা; সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি এই রিপোর্ট পেশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে গত পাঁচ বছরে দেশে ১.২৫ কোটি মহিলা কাজ হারিয়েছেন; এর মধ্যে ২৫ লক্ষ মহিলা চাকরি হারিয়েছেন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে।
সেখানেই দেখা যাচ্ছে, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের; কর্মসংস্থান হওয়ার পাশাপাশি তাদের রোজগারও বেড়েছে। একবছরে দেশের মহিলাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির, যে তালিকা তুলে ধরা হয়েছে; সেখানেও প্রথমে বাংলা। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৪৩.২১ লক্ষ মহিলা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিলেন; সেখান থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত সংখ্যাটা পৌঁছেছে ৪৩.৭১ লক্ষ। অর্থাৎ এই এক বছরে রাজ্যে ৫০ হাজার মহিলা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন; বাংলার পর এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার ও ওড়িশা। কেন্দ্রের পুরো রিপোর্ট অবশ্য; দেশের অর্থনীতির পক্ষেই বেশ বিপজ্জনক।