ভোটের আগে বোমা মেরে বিজেপি নেতার বাড়ি উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। বুধবার রাতে একদল সিপিআই(মাওবাদী)-র সশস্ত্র দুষ্কৃতি হামলা করে বিহারের গয়া জেলার বিজেপি নেতা অনুজ কুমারের বাড়িতে এবং বোমা মেরে দোতলা বাড়ির একটি অংশ উড়িয়ে দেয়।
গয়ার সিনিয়র এসপি রাজীব মিশ্র জানান, প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন সিপিআই নকশালপন্থী সন্ত্রাসী একসাথে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। স্থানিয় মিডিয়া সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার প্রায় রাত ১টা নাগাদ নকশালপন্থী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় ওই নেতার বাড়িতে।
আরও পড়ুনঃ সরান হল কে কে শর্মাকে, বাংলার নতুন পুলিশ অবজার্ভার বিবেক দুবে
বিজেপি নেতা অনুজ কুমার বহুদিন ধরেই তাদের লক্ষ্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানিয়দের মধ্যে। হামলার পর তারা ওই এলাকায় কিছু লিফলেট ফেলে যায়। লিফলেটে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জনসাধারণকে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রতিবারই ভোটের আগে ভোট বয়কট এর ডাক দেয় মাওবাদীরা।
আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশে মহাজোটকে ‘শরাব’ বলে কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদীর
এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও গেরুয়া ব্রিগেডকে বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্টার ফেলেছিল বামপন্থী সংগঠন সিপিআই(মাওবাদী)। বিহারের গয়া জেলার জনসাধারনের উদ্দেশ্যে আর্জি জানিয়ে এই মাওবাদী সংগঠনের তরফে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল।
মূলত নরেন্দ্র মোদী সরকার যাতে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, সেই অনুরোধই করা হয়েছে পোস্টারে। একই সাথে সরকারের সমস্ত প্রকার প্রকল্প বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে এই সংগঠনের তরফে। এরপর এই বোমা মেরে বিজেপি নেতার বাড়ি উড়িয়ে দেবার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানিয় মানুষদের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ভোটে উড়ছে টাকা, ৪২ আসনে নজরদারিতে ৪৪ জন ব্যয় পর্যবেক্ষক
বিহারের গয়া সংলগ্ন এলাকায় মাওবাদীরা বহুদিন ধরেই সক্রিয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধরপাকড়ে মাওবাদীরা ওখানে যথেষ্ট কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। সেজন্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের ক্ষোভ রয়েছে। মগধের মাওবাদী প্রভাবিত তিন এলাকা গয়া, ঔরঙ্গাবাদ ও নওদা জেলায় আগামী ১১ই এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ২ দিনের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার চ্যালেঞ্জ মমতার
এই মাসের প্রথম দিকেই বিহারের গয়া জেলার লুটুয়া থানার এলাকার অন্তর্গত একটি স্কুলে মাওবাদীরা হামলা চালায়। ওই স্কুলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই স্কুল সংলগ্ন এলাকা নিজেদের অধীনে এনেছে। চলছে টহলদারি ও মানুষের মন থেকে ভয় দূর করার কাজ।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে স্যাটেলাইট অস্ত্রের ঘোষণা কেন, মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বিহারে ৭ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার কথা ঘোষণা করেছে। ভোটের সময় বিহারে ৫৫ কোম্পানি সিআরপিএফ নামানোর কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা গুলোয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের পুলিশ যৌথভাবে অভিযান জারি রাখবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।