খাস কলকাতায় আবিষ্কার টাকা ও সোনা ভর্তি ২০০টি ভূতুরে লকার

684
খাস কলকাতায় আবিষ্কার টাকা ও সোনা ভর্তি ২০০টি ভূতুরে লকার/The News বাংলা
খাস কলকাতায় আবিষ্কার টাকা ও সোনা ভর্তি ২০০টি ভূতুরে লকার/The News বাংলা

শহর কলকাতায় আবিষ্কার সোনা ভর্তি ২০০টি ভূতুরে লকার। যার মধ্যে ছিল ৫ কোটি টাকা ও ১৩ কোটির সোনার গয়না। চক্ষু চড়কগাছ আয়কর দফতরের কর্তাদের। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, লাফিয়ে বাড়ছে হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি এবং কালোটাকা উদ্ধারের ঘটনা।

ভোটের আগেই বেআইনিভাবে কলকাতার বরদান মার্কেটের বেসমেন্টে রমরমিয়ে চালু ছিল প্রায় ৬৫০টি লকার। বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই আয়কর অফিসাররা হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করল নগদ ৫ কোটি টাকা এবং ১৩ কোটি টাকার সোনার গয়না ও সোনার বাট। দুমাস ধরে টানা তদন্ত চালানোর পরই আয়কর দফতরের নজরে আসে বিষয়টি।

আরও পড়ুনঃ বাংলার ভোটে উড়ছে টাকা, ৪২ আসনে নজরদারিতে ৪৪ জন ব্যয় পর্যবেক্ষক

৬৫০ টি বেআইনি লকারগুলির মধ্যে হদিশ মেলেনি ২০০টি লকারের মালিকের। বাকি লকারের মালিকদের এদিন ডেকে পাঠানে হয়। পুরো বিষয়টির সিজার লিস্ট তৈরি করছেন আয়কর আধিকারিকেরা। ৪৫০ টি লকারের মালিকরা এলেও প্রায় ২০০ টি লকারের কোন দাবিদার আসেনি। ৬৫০ টি লকারের মধ্যে ২০০ টি লকারের মালিকের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। সেগুলিকে ভাঙতে হয় আয়কর কর্তাদের।

আরও পড়ুনঃ সরান হল কে কে শর্মাকে, বাংলার নতুন পুলিশ অবজার্ভার বিবেক দুবে

বৃহস্পতিবার বরদান মার্কেটের বেসমেন্টে থাকা সেই ২০০টি লকার ভেঙে নগদ ৫ কোটি টাকা ও প্রায় ১৩ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার করেছেন আয়কর দফতরের অফিসারেরা। শহরে এমন আরও বেশ কিছু প্রাইভেট ভল্ট আছে বলে মনে করছেন আয়কর আধিকারিকরা। এবার সেগুলির হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশে মহাজোটকে ‘শরাব’ বলে কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদীর

অন্যদিকে, ব্রেবোর্ন রোডের গনেশ মার্কেটের সামনে প্রমোদ কুমার শর্মা নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওড়িষার তালচেরের বাসিন্দা প্রমোদ কুমার শর্মাকে আটক করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দুটি ব্যাগ ভর্তি টাকা ছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ব্যক্তি কোনও গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ নামে ১১টা ফৌজদারি মামলা, খুন শ্লীলতাহানি মামলার আসামি লোকসভায় প্রার্থী কেন

নির্বাচনের আগে শহরের মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে হালকাভাবে নিচ্ছে না পুলিশ। এই টাকা নির্বাচনে কোনও অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। শহরের দুটি ঘটনাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে কড়া তদন্ত। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরেও আনা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ২ দিনের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার চ্যালেঞ্জ মমতার

বুধবার শেক্সপিয়র সরণী থানা এলাকা থেকেও ৯ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে ১০ই মার্চ। তার দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। আর ১৭ দিনের মধ্যে ৩০ কোটি টাকারও বেশি হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর।

আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে স্যাটেলাইট অস্ত্রের ঘোষণা কেন, মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

তারমধ্যে নগদেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বাকিটা সোনার গয়না এবং সোনার বাট। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা ভোট প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৯ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। আর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উদ্ধার হয়েছিল ৭কোটি ৮০ লক্ষ্য টাকা। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে এখনও বাকি এক মাসেরও বেশি সময়।

এর মধ্যেই গত দুবারের কালো টাকা উদ্ধারের রেকর্ড ছাপিয়ে যাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে নির্বাচন কমিশন। এই সব বিষয়ে নজর দিতে রাজ্যে ৪৪ জন এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার বা ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে গোটা দেশের মধ্যে এই ধরণের ঘটনায় গোটা দেশকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলা।

আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন