মিছিল মিটিং করতে মমতার পুলিশ প্রশাসনের ওপর ভরসা করতে হবে না বিজেপি ও অন্য বিরোধীদের। রাজ্যে বারবার মিছিল মিটিং করতে বাধা দেওয়া বা কোনরকমেই মিছিল মিটিং করার অনুমতি দিত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এমনটাই অভিযোগ ছিল বিজেপির তরফ থেকে। সেই অভিযোগ করা থেকে এবার রেহাই পেল বিজেপি। নির্বাচন কমিশন ‘সুবিধা’ অ্যাপ দিল বিরোধীদের।
আরও পড়ুনঃ প্রচুর চমক, রাজ্যের ৪২টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২জন প্রার্থী কে কে
মিছিল মিটিং করার জন্য আর শুধুই পুলিশ প্রশাসনের ওপর ভরসা করতে হবে না রাজনৈতিক দলগুলোকে। এই বিষয়ে এবার কড়া নজর রাখবে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কোনও মিছিল কিম্বা মিটিংয়ের অনুমতি না দেওয়া হলে রাজ্য প্রশাসনকে তার কারণ দর্শাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। জেলা পুলিশ কিংবা অন্যান্য দপ্তর যদি অনিবার্য কারণ ছাড়া মিছিল মিটিংয়ের অনুমতি না দেয় তবে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ পুলিশে ভরসা নেই, একমাস আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
এরাজ্যে মিছিল মিটিং করতে দেওয়া হয় না বিরোধীদের। এমন অভিযোগ বহুবার উঠেছে। বিতর্ক হয়েছে বহু। যেমন ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে মুর্শিদাবাদের সভা করার কথা ছিল বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হোসেনের। অভিযোগ, বিনা কারণে সভার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এরপর তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে আইন বলে কিছুই নেই। পরে লালবাগের হোটেলের কর্মী সভা করেন শাহনওয়াজ।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে বিজেপির হয়ে কি লড়বেন দীপা দাশমুন্সি
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর সভা নিয়েও টালবাহানা হয় বিস্তর। অনুমতি না পাওয়ায় উত্তরপ্রদেশ থেকে ফোনে ভাষণ দিতে হয় যোগী আদিত্যনাথকে। অমিত শাহের সভার অনুমতি নিয়েও বিস্তর টালবাহানা হয়। পরে সেই সভার অনুমতি দেওয়া হলেও অভিযোগ পিছু ছাড়েনি।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গি মাসুদ আজহারকে ‘মাসুদ আজহার জী’ বলে সম্বোধন করে বিতর্কে রাহুল
শুধুমাত্র বিজেপি নয়, বাম কংগ্রেসের সভার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এ রাজ্যের প্রশাসন গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ ওঠে। মালদায় রাহুল গান্ধীর সভার অনুমতি নিয়েও টালবাহানার অভিযোগ তোলে মালদা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই ধরনের বিষয়গুলি এড়ানোর জন্যই এবার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। আনা হয়েছে একটি অ্যাপ। নাম দেওয়া হয়েছে “সুবিধা”।
আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন
নির্বাচনী আচরণবিধি চালু থাকার সময় এ রাজ্য তো বটেই দেশের যে কোন প্রান্তে কোন রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক দলকে সভা-সমিতি কিংবা মিছিল করতে হলে আবেদন করতে হবে এই অ্যাপের মাধ্যমেই। সেই আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে জমির মালিকের অনুমতি সহ অন্যান্য অনুমতি পত্র।
মিটিং-মিছিলের সেই আবেদন খতিয়ে দেখে অনুমতি দেবে প্রশাসন। আর যদি অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে এই অ্যাপেই কারণ দর্শাতে হবে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহলকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে
ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ এবং লালবাজারের সংশ্লিষ্ট অফিসাররা এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এই অ্যাপের বিষয়ে খুঁটিনাটি জেনে গেছেন। “সুবিধা”য় আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট দল এই অ্যাপেই জেনে যাবে আবেদনের আপডেট।
অনুমতি দেওয়া হল নাকি নাকচ করা হলো সেটিও জানা যাবে এই অ্যাপেই। যদি উপযুক্ত কারণ ছাড়া আবেদন নাকচ করা হয়? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের এক কর্তা বলেন, “বিষয়টিতে কড়া নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। তেমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে”।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।