ইভিএম নয়; ব্যালটে ভোট চাই। এমন দাবি নিয়েই; এবার আন্দোলনে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মমতাই বাম আমলে ইভিএমে ভোটের দাবি তুলেছিলেন। এখন তিনিই ফের ব্যালটে ভোট চাই; বলে দাবি তুলেছেন। বাম আমলে ইভিএমের দাবি তোলা মমতার; রাম আমলে আবার ব্যালটে ভোটের দাবি নিয়েই উত্তাল বাংলা সহ গোটা দেশ।
‘ইভিএম মেশিন চাই না; ব্যালট চাই’। এবার ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের স্লোগান এটাই। সারা দেশব্যাপী আন্দোলন; শুরু হবে বাংলা থেকেই। বঙ্গে এবার বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। পালটা কোমর বাঁধছে তৃণমূলও। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগকে; অস্ত্র করছে রাজ্যের শাসক দল। আসন্ন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দলের স্লোগান কী হবে; সেটাও সোমবার ঠিক করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
ইভিএম নিয়ে ভোটের অনেক আগে থেকেই; সরব হয় বিজেপি বিরোধীরা। ভোটের ফল বেরোতে দেখা গেল; নরেন্দ্র মোদী একাই তিনশো পার। এই প্রেক্ষাপটে, এবার ইভিএম নিয়ে চরম অনাস্থা প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে; সোচ্চার হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, ইভিএম মেশিনে আগে থেকেই; বিজেপির পক্ষে প্রোগ্রামিং করা ছিল। বিজেপির জয়ের রহস্য উন্মোচনে; ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করারও দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা সাংবাদিকদের বলেন; ৯৮ শতাংশ ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। মমতা বলেন; “ভোটের দিন যে ইভিএম মেশিনগুলো নষ্ট হয়েছিল; সেগুলো পাল্টে যে নতুন মেশিন দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর একটিতেও ‘মক পোল’ করা হয়নি। ইভিএম মেশিনগুলোতে আগেই প্রোগ্রামিং করা ছিল”।
এই অভিযোগ তুলে মমতা জানিয়ে দেন যে; এই নির্বাচনের ফল তিনি মানেন না। এর জন্য তিনি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গড়ার দাবি জানান। বলেন, “ইভিএম মেশিনের ভোট আমি মানি না। ব্যালট পেপারে ফিরতে হবে। এরই দাবিতে আন্দোলন শুরু হবে”।
তবে কে ওই কমিটি গড়বে? সেটা পরিষ্কার করে বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। এই কমিটি গড়ার দাবিতে; দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
ইভিএম নয়, ব্যালট চাই। এই স্লোগানকে অস্ত্র করেই এবার ঝাঁপাবে তৃণমূল। বাম আমলে ঠিক এর উল্টো দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম আমলে ইভিএমের দাবি তোলা মমতার; রাম আমলে আবার ব্যালটে ভোটের দাবি।