ভোট প্রচারে তৃণমূলকে লক্ষ করে গান বাঁধলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর সেই গানের মেকিং ভিডিও প্রকাশের পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায় বিভিন্ন মিডিয়াতে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। তৃণমূলের তরফ থেকে বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। আর এরপরেই বাবুলকে একহাত নিয়েছেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুনঃ বাবুলকে ‘বাচ্চা ছেলে’ বলে কটাক্ষ করলেন ‘সেন্সেশনাল’ মুনমুন
এদিন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বাবুল সুপ্রিয়ের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “বাবুল সুপ্রিয় অনেক আগে থেকেই যা কিছু করছে তাতে তার জেলে থাকা উচিত ছিল। অনেক আগেই বাবুল সুপ্রিয়কে আরেস্ট করা উচিত ছিল। বাবুল সুপ্রিয় খুবই নোংরা কাজ করে এবং দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে। এটা খুব দুঃখজনক যে এর পরেও সে খোলা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাবুল এর নামে FIR হওয়া উচিত এবং ওর মন্ত্রিত্ব ক্যান্সেল করে দেওয়া উচিত। একজন ভোট প্রার্থী হয়ে ওর এই ধরণের কাজ করা গ্রহণযোগ্য না”।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা
সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “এই যে আমরা এখন ঘরে আছি, যখন চলে যাব তখন এই ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা হবে, কারণ অনেক ধুলো জমে যায়। বিজেপি সেই ধুলো নিয়ে গেছে। এখন ঘর মন্দির মসজিদ এর মতই পবিত্র। এখন আর কিছু নোংরা নেই, বাঁচা গেছে”।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় ফের মোদী, ভোটের আগেই জানাচ্ছে সাট্টাবাজার
ভোটের একমাস আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাজ্যে আসা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মদন মিত্র। তিনি জানান, “শোনা গেছে বেশ কিছুজনের নাম আছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে, যার মধ্যে আমার নামও আছে, আমার কোন সমস্যা নেই তাতে”।
তিনি এও জানান কেন্দ্রীয় বাহিনী সুষ্ট ভাবে নির্বাচন করতে এসেছে সেটাই যেন তারা করে, কিন্তু তারা যদি দাদাগিরি করে সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সংবিধানে কোথাও এমন লেখা নেই যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে সাধারণ মানুষের ঘরে ঢুকে ধমকি দেবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি এও বলেন যে “তারা যেন ভুলে না যায় যে রাজ্যের হাতে যে বাহিনী আছে সেটা কিন্তু মমতার পক্ষে”।
আরও পড়ুনঃ চোখ মেরে শাড়ির আঁচল ফেলে প্রচার মুনমুনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
এদিন বিস্ফোরিত মদন মিত্র নোটবন্দি প্রসঙ্গে বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর চরম শাস্তি পাওয়া উচিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন কে উনি কলঙ্কিত করেছেন, একজন মিথ্যেবাদী লোক উনি। উনি এমন ভাবে হাঁটাচলা করেন তাতে চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী নয়, ওনার লেখা উচিত অভিনন্দন নরেন্দ্র মোদী, যেন উনিই পুরো পাকিস্তানকে খতম করে এসেছেন”।
আরও পড়ুনঃ ভোটের দিন ঘোষণার পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বাংলায় এগিয়ে তৃণমূল
সিপিএম কংগ্রেস জোট সম্পর্কে তিনি বলেন, “বাংলায় সিপিএম আর কংগ্রেস থাকা না থাকা সমান। তাই তাদের জোট হলো কি হল না তাতে কিছুই যায় আসে না। they are neither hear not there. সিপিএম কংগ্রেস এর জোট হলেও কিছুই এদিক ওদিক হত না। এখন বাংলায় একটাই মুখ সেটা মমতা ব্যানার্জী”।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।