বিজেপি নেত্রী লকেটের বাড়ি ভাংচুর, বিজেপি তৃণমূল তরজা

501
বিজেপি নেত্রী লকেটের বাড়ি ভাংচুর, বিজেপি তৃণমূল তরজা/The News বাংলা
বিজেপি নেত্রী লকেটের বাড়ি ভাংচুর, বিজেপি তৃণমূল তরজা/The News বাংলা

বিজেপি নেত্রী ও হুগলীর বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এর বাড়ি ভাংচুর করল একদল দুষ্কৃতি। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল জোর তরজা। স্থানিয় বাসিন্দারা বলেছেন, বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই এই হামলা চালিয়েছে। তবে লকেট অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তৃণমূল সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ দুদফায় ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় তৃতীয় দফায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী

হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় ব্যান্ডেলের লিচুবাগানে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতেই থাকছেন। শুক্রবার সকাল থেকে প্রচারে বেরিয়ে চুঁচুড়া পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘোরার কথা ছিল লকেটের। সেইমতো এদিন সকাল ৯টা নাগাদ কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বেরোন। ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ওলাইচণ্ডীতলার মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করেন প্রচার। এরপর শরীর অসুস্থ লাগায় তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন লকেট।

আরও পড়ুনঃ ভোটের পরেও অশান্ত চোপড়ায় গুলির লড়াই, গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র

ব্যান্ডেলের লিচুতলায় অবস্থিত লকেটের ভাড়া বাড়ি ‘শান্তিনিকেতন’। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারের কাজের জন্য ব্যান্ডলের লিচুতলায় এই বাড়িতে রয়েছেন লকেট। বাড়ির নীচেই রয়েছে দলীয় কার্যালয় অফিস। সেখানেই প্রথম হামলা চালানো হয়। তারপর উপরে উঠেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুনঃ মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা

লকেটের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শুক্রবার সকালে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির জানলা, দরজার কাঁচ লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মারা হয়। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার, টেবিল। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। লকেটের অভিযোগ, এরপরেই ওই দুষ্কৃতিরা তাঁর ঘরে ঢুকেও ভাঙচুর চালায় ওই হামলাকারীরা। ভেঙে ফেলা হয় ঘরের টেলিভিশন, কম্পিউটারও। প্রার্থীর উদ্দেশে আক্রমণাত্মক ভাষাও তারা বলতে থাকে বলে অভিযোগ। এসবের পরই হামলাকারীরা নিজেরাই সেখান থেকে চম্পট দেয়।

আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন ৪২ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ জীবিত সৈনিক

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। প্রসঙ্গত, বহিরাগত লকেটকে প্রার্থী ঘোষণা করায় দলের অন্দরে মাথাচাড়া দিয়েছিল অসন্তোষ। তৃণমূলের মতে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই আক্রান্ত হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাদের দাবী, ব্যান্ডেলের যে বাড়িতে তিনি আপাতত রয়েছেন, সেখানে একদল বিজেপির কর্মী চড়াও হন। ঘরে ঢুকে টেলিভিশন, কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয় বিজেপির তরফ থেকেই। ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে, তাঁরাও আক্রান্ত হন বলেই অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ পাঁচে পাঁচ, ভোট হয়ে যাওয়া বাংলার ৫টি আসনেই জিতবে বিজেপি, দাবি মুকুল রায়ের

স্থানিয় বাসিন্দা ও অনেক লকেট অনুগামীদেরও অভিযোগ, “যারা হামলা চালিয়েছে তারা সকলেই হুগলির বিজেপি সভাপতি সুবীর নাগের অনুগামী। তাঁর ইন্ধনেই বিজেপি প্রার্থীর উপর এমন নিন্দনীয় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এমনিতেই দক্ষ হাতে সংগঠন চালানোর পুরস্কার হিসেবে হুগলি কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে টিকিট পাবেন বলে অনেক আশা করেছিলেন জেলা সভাপতি সুবীর নাগ।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের বোকামিতে বাংলার ফিল্ম সিরিয়াল পরিচালকদের মাথায় হাত

কিন্তু তাঁর বদলে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে লকেটে চট্টোপাধ্যায়কে। তাতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল শুরু থেকেই। শুক্রবার লকেটের বাড়িতে হামলা তাঁর সেই ক্ষোভেরই বহিপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি জেলা নেতৃত্ব গোটা বিষয়টির জন্য তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলার খবর করতে গেলে, সেখানকার কর্মী, সমর্থকরা সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয় এবং মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ায় আবার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

এর জেরে ভোটের আগে হুগলিতে ফের প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনা ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। তবে লকেটে চট্টোপাধ্যায় এই হামলার দায় তৃণমূলের উপরই চাপিয়েছেন। নিরাপত্তার অভাবের কথা বলেছেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী।

আরও পড়ুনঃ নদিয়ায় ইভিএমের দায়িত্বে থাকা নোডাল অফিসার নিখোঁজ, ভোটকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য
আরও পড়ুনঃ ভোটের দায়িত্বে থাকা অর্ণব রায়ের উধাও হওয়া ফিরিয়ে এনেছে রাজকুমার রায়ের স্মৃতি

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন