ফের শহরের বুকে হল ক্রিকেটারের অপমৃত্যু। বুধবার সকালে সৌরভ যাদব নামক এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটেছে। একবাল্পুরের বাসিন্দা সৌরভের বয়েস ছিল ২২ বছর। খিদিরপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের সৌরভ বা সনু, বালিগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবে ক্রিকেট খেলত বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দানে।
বুধবার সকালে ক্লাবের প্রস্তুতি প্র্যাকটিসের সময় অসুস্থ হয়ে পরে সৌরভ যাকে তার বন্ধুরা ডাকত সনু বলে। তার বন্ধুদের থেকে জানা যায়, সৌরভ খেলার সময় আউট হয়ে যখন মাঠের ধারে হেঁটে আসছিল, তখনই হঠাৎ পরে যায় সে। বন্ধুরা তাকে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করায়, সে হেসে বলে “ঠিক আছি”।
জানা যায়, এই কথা বলার পর মাথার হেলমেটটা খুলতেই মাটিতে লুটিয়ে পরে সৌরভ। ক্লাব সদস্যরা তাকে তখন নিয়ে যায় এসএসকেএম হাসপাতালে, যেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সৌরভ বালিগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট টিমের ব্যাটসম্যান এবং উইকেট কিপার ছিল। সৌরভ যাদবের বন্ধুরা তার মৃত্যুর জন্য, ক্লাব কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বলে, “কোন ফার্স্ট এডের ব্যাবস্থা বা আম্বুলেন্স না থাকায় সৌরভ প্রাণ হারিয়েছে”।
এই বছর জানুয়ারি তে,পাইকপাড়া ক্লাবের অনিকেত শর্মার মৃত্যু হয়েছিল ঠিক একই ভাবে। সেইদিনও মাঠে কোন আম্বুলেন্স বা চিকিৎসা ব্যাবস্থা ছিল না। তাকে পাইকপাড়া থেকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
ক্রিকেট মাঠে কেন আম্বুলেন্স থাকছে না, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে গেছে বিতর্ক। বারবার একই ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে বাংলার উঠতি ক্রিকেটারদের। তবুও কোন কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে কোন নজর দিচ্ছে না। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন ক্রিকেত ক্লাব।