The News বাংলাঃ হিন্দুত্ববাদীদের ফাঁসাতে গিয়ে ধরা পড়লেন সিপিএম নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। শবরীমালা মন্দিরের উত্তপ্ত ঘটনার মধ্যেই একটি মসজিদে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে গেরুয়া গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীদের দিকেই। সমালোচনার ঝড় ওঠে গোটা দেশ জুড়ে। পরে তদন্তে দেখা যায়, এর পিছনে আছে এক সিপিএম নেতা। কেরল পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ উত্তপ্ত কেরল। প্রায় প্রতিদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে প্রবেশাধিকারের দাবিতে মন্দিরে ঢুকতে চাওয়া আন্দোলনকারী ও আয়াপ্পা ভক্তদের মধ্যে। এদিকে সংঘ পরিবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মন্দিরের চলে আসা প্রথাকেই মান্যতা দিয়ে শবরীমালা কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে মহিলাদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে আন্দোলনকারীদের দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
ফের গরু চোর সন্দেহে খুন, এবার ‘গোরক্ষকের’ নাম মুসলিম মিঁয়া
বউ অদল বদল, বিকৃত যৌনাচারে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহবধূর
EXCLUSIVE: সংখ্যালঘুদের ধর্মে সুড়সুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে ভারতের টাকার কালোবাজারি
EXCLUSIVE: নতুন বছরে সুখবর, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন বকেয়া ডিএ
গত ২রা জানুয়ারী মন্দিরের প্রথা অগ্রাহ্য করে কেরল পুলিশের সহায়তায় মন্দিরে প্রবেশ করে পুজো দেন বিন্দু ও কনকদুর্গা নামের দুজন মহিলা পূজারিনী। আর তাতেই আগুনে ঘি পড়ে। সংঘর্ষ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। মন্দিরের প্রথা চালু রাখার দাবিতে আন্দোলনরত আয়াপ্পা ভক্তদের ওপর পুলিশি অত্যাচারেরও অভিযোগ ওঠে। কেরল সরকার এখনও পর্যন্ত ১৬৬৯ জন আয়াপ্পা ভক্তকে গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে গতকাল মসজিদে পাথর ছোঁড়া ও মসজিদে ভাংচুর করে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে সিপিএম সমর্থক ও সদস্যদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, পেরামব্রায় একটি মসজিদে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। ক্ষতি হয় মসজিদের। প্রাথমিক ভাবে সংঘ পরিবারের দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। পুলিশ তদন্তে উঠে আসে সম্পূর্ণ আলাদা তথ্য। জানা যায়, এর পিছনে আছে এক ডিওয়াইএফআই নেতা।
পুলিশ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সংঘ পরিবার ও হিন্দুত্ববাদীদের নিশানা করতেই মসজিদে হামলা করে সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তরা সংঘ পরিবারের ওপরেই দায় চাপায়। কিন্তু তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। তদন্ত চালিয়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন ডিওয়াইএফআই এর সুনির্দিষ্ট যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় স্থানীয় সিপিএমের ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি সহ ২১ জন সিপিএম এবং ডিওয়াইএফআই সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ নং ধারায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি ও দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ৫ই জানুয়ারী সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে কেরালার বিজেপি সাংসদ মুরলীধরণের বাড়ি সহ এক সংঘ প্রচারকের বাড়িতে হামলা এবং কান্নুরে একটি আরএসএসের কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তারও আগে ২রা জানুয়ারী শবরীমালা কর্ম সমিতির ৫৫ বছর বয়সী এক সদস্যকেও পাথর ছূঁড়ে হত্যা করে সিপিএম সমর্থকরা।
আরও পড়ুনঃ
কংগ্রেস ছেড়ে মমতার ‘মহানায়িকা’ এবার মোদীর বক্স অফিসে
ভোরবেলায় শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস সৃষ্টি ‘মা দুর্গার’
দেশপ্রেম বাড়াতে স্কুলের রোল কলে এবার ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় ভারত’
শীতের বাংলায় বৃষ্টি আনতে আন্দামান থেকে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।