কর্মফল, অন্যের সন্তানকে গাঁ’জা কেসে ফাঁ’সিয়ে আজ নিজের মেয়েই ফেঁ’সে

325
পাপ বাপকেও ছাড়ে না, অন্যের সন্তানকে গাঁ'জা কেসে ফাঁ'সিয়ে আজ নিজের মেয়েই ফেঁসে
পাপ বাপকেও ছাড়ে না, অন্যের সন্তানকে গাঁ'জা কেসে ফাঁ'সিয়ে আজ নিজের মেয়েই ফেঁসে

কর্মফল, পাপ বাপকেও ছাড়ে না, অন্যের সন্তানকে গাঁ’জা কেসে ফাঁ’সিয়ে আজ নিজের মেয়েই ফেঁসে। প্রকাশ্যে বলেছেন, “ওই মেয়েটাকে ওই ছেলেটাকে গাঁ’জা কেসে ফাঁ’সিয়ে দে”। প্রকাশ্যে বলতেন, “পুলিশকে বল ওকে গাঁ’জা কেস দিয়ে তুলে নিতে”। অনুব্রত মণ্ডলের এই বক্তব্য শুনেছে, গোটা বাংলার মানুষ। আজ সেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ফেঁ’সে গেছেন চাকরি দুর্নীতি ও আয় বহির্ভূত অগাধ সম্পত্তির মামলায়।

কলকাতা হাইকোর্টের তলব পেয়ে বীরভূমের বাড়ি থেকে, বৃহস্পতিবার সকালে বেরোলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। সুকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেট পাস না করেই প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান সুকন্যা। শুধু তাই নয়, চাকরি পাওয়ার পর, একদিনও স্কুলে যাননি তিনি। বাড়িতেই পাঠিয়ে দেওয়া হত রেজিস্টার। তার প্রেক্ষিতেই অনুব্রত-কন্যাকে, হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষকতা পরে করবেন, আগে কাগজপত্র নিয়ে আদালতে আসুন, ‘দুর্নীতিবাজ শিক্ষক’দের নির্দেশ

বাড়ির ঠিক পাশেই, বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন সুকন্যা মণ্ডল। আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, কোনওদিন তিনি ওই বিদ্যালয়ে যাননি। স্কুলের হাজিরা খাতা, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পাঠানো হত। বাড়িতে বসে ওই খাতায়, সই করতেন সুকন্যা। স্কুলে না গিয়েও প্রতি মাসে বেতনও পেতেন তিনি।

অনুব্রতর মেয়ে-সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই আইনজীবীর দাবি, অনুব্রতর ভাই সুমিত মণ্ডল, আপ্ত-সহায়ক অর্ক দত্ত, ভাইপো সাত্যকি মণ্ডল, তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদিও বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন। প্রত্যেক-কেই আদালত তলব করেছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন