লোকসভায় ভোটবাজারে প্রতিটি দলের নেতা নেত্রীদের মুখেই বেকারদের কোটি কোটি চাকরীর প্রতিশ্রুতি। তার মধ্যে এক ঝটকায় শুক্রবার সকাল থেকে বেকার হয়ে গেল ২০ হাজার কর্মী। গতকাল রাতেই বন্ধ হয়ে গেল জেট এয়ারওয়েজ।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ভোটে সত্যজিত রায়ের গুপি বাঘার শরণাপন্ন হল নির্বাচন কমিশন
আপাতত সব উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। টাকার অভাবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা ছিল জেট। প্রবল সঙ্কটের মুখে পড়া এই এয়ারলাইনটিকে বাঁচানোর জন্য জেটের পাইলটরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপও চেয়েছেন। প্রধান ঋণদাতা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কাছে তারা ১৫০০ কোটি টাকা জরুরি তহবিলের জন্য আবেদনও করেছেন।
আরও পড়ুনঃ অর্জুন সিংহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ চার কাউন্সিলর সহ কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মীর
সংস্থার এক আধিকারিক কয়েকদিন আগে জানান, তাঁরা আপাতত কর্মীদের দেখভালের দিকেই নজর দিচ্ছেন। জানুয়ারি মাস থেকেই জেট এয়ারওয়েজ কর্মীদের বেতন দিতে পারছিল না। ব্যাঙ্কের ঋণের কিস্তিও বাকি পড়ছিল জানুয়ারি থেকে। ফলে দৈনন্দিন উড়ান পরিষেবা চালু রাখার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তাতে টান পড়ছিল। আর আজ থেকে সব শেষ।
আরও পড়ুনঃ দুদফায় ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় তৃতীয় দফায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই জেট এর কর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বাঙ্গালোর, দিল্লি ও মুম্বাইতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছিলেন। সংস্থার বেশির ভাগ গ্রাউন্ড স্টাফ একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা, ফলে এক মাস মাইনে না-পাওয়ার অর্থই হল বাড়িভাড়ার চেক বাউন্স করা কিংবা ছেলেমেয়ের স্কুলের মাইনে না-দিতে পারা। ন্যায্য পাওনার দাবিতে জেটের কর্মীরা প্রতিবাদে রাস্তাতেও নেমে এসেছিলেন। জেটের কর্মীদের দাবি ছিল তারা নিরাপত্তা চান। কারণ জেট বিপদে পড়লে সংস্থার হাজার হাজার কর্মী চাকরি খোয়াবেন। আর সেটাই হল।
আরও পড়ুনঃ ভোটের পরেও অশান্ত চোপড়ায় গুলির লড়াই, গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র
জেটের ঘাড়ে এ মুহূর্তে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংকঋণের বোঝা। সেই সঙ্গে কর্মীদের অন্তত তিন মাসের বেতন বাকি পড়ে আছে। গতরাতে জেট এয়ারওয়েজ বিবৃতি দিয়ে জানায়, পুঁজির অভাবে আপাতত পরিষেবা স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। রাতে তাদের শেষ উড়ানটি দিল্লি থেকে অমৃতসরে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাত পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জেটের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের দায়িত্বে থাকা অর্ণব রায়ের উধাও হওয়া ফিরিয়ে এনেছে রাজকুমার রায়ের স্মৃতি
মাত্র কিছুদিন আগেও এই এয়ারলাইনটি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালাত। সেখানে গত কয়েক দিন ধরে দিনে মাত্র ৩৫-৪০টি বিমান চালাচ্ছিল জেট ওয়ারওয়েজ। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে জেট ওয়ারওয়েজের সার্বিক ভাবমূর্তিটাই খারাপ হচ্ছিল। মঙ্গলবার এমন খবরও ছড়িয়ে পড়ে যে, খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেট ওয়ারওয়েজ।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী মধুকে
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শেয়ার বাজারে জেটের দর ২০ শতাংশ পড়ে যায়। দিনের শেষে কিছুটা উন্নতি হলেও মোটের ওপর ৮ শতাংশ পড়ে শেয়ার। শেয়ার প্রতি দর ২৪২ টাকায় দাঁড়ায়। জেট এয়ারওয়েজ যদি দ্রুত দৈনিক উড়ান সংখ্যা না বাড়ায় তবে লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই দিকেই এগোচ্ছে জেট।
আরও পড়ুনঃ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের অভিশাপেই কাসভের হাতে কারকারের মৃত্যু
আরও পড়ুনঃ মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।