ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হাইপার টেক্সট ডকুমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত। ১৯৮৯ সালের মার্চে ইংরেজ পদার্থবিদ টিম বার্নাস লি, বর্তমানে যিনি ওয়ার্ণ্ড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের ডাইরেক্টর, পূর্ববর্তী হাইপারটেক্সট সিস্টেম হতে ধারণা নিয়ে, যে প্রস্তাবনা লেখেন তা হতেই উপত্তি ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের।
বর্তমান ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে, অন্যান্য ওয়েব সাইট তৈরি হয়েছিল, সারা বিশ্বব্যাপী, ডোমেইন এর নাম ও এইচটিএমল এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই বার্নাস লি ওয়েব স্টান্ডার্ড এর ব্যাপারে তার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকাকে নিজের করে পেতে কি কি করতে হয় পুরুষকে
কাল ছিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ৩০ বছরের জন্মদিন। ৩০ বছর পূরণ উপলক্ষে, আপনাদের জন্য রইল এই ওয়েবের ১০টা অজানা তথ্যঃ
১।১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার এবং বৈজ্ঞানিক টিম বার্নেরস লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তৈরি করার প্রস্তাব দেন।
বার্নেরস লি এর সঙ্গে ছিলেন রবার্ট কেলিয়া, একজন বেলজিয়ান বৈজ্ঞানিক। দুজন মিলেই তৈরি করেছিলেন WWW।
২। ওয়েবে প্রথম সার্ভার হিসেবে কাজ করেছিলেন কেলিয়া
৩। যেই সিস্টেম ব্যাবহার করে ওয়েবের প্রোগ্রাম কোড লেখা হয়েছিল, তার নাম ছিল নেক্সট, এবং তা তৈরি করেছিল স্টিভ জবস।
৪। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বার্নেরস লি এর এই প্রস্তাবের প্রতি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। লি এর বস ওয়েবের এই প্রস্তাব কে “অস্পষ্ট কিন্তু আকর্ষণপূর্ণ” বলে জানায়ে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নারীদের স্তন ক্যানসার, ভয়াবহ এই রোগের প্রধান ৮টি লক্ষণ
৫। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব পৃথিবীর মানুষের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে ফ্রী হয়ে যায় ১৯৯৩ সাল থেকে।
৬। প্রাথমিক ভাবে, WWW সিইআরএন এর পদার্থবিদ্যাবিদরা ব্যাবহার করত তাদের তথ্য শেয়ার করার জন্য, তবে পরে সেটা সাধারন জনগনের ব্যাবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
৭। http://info.cern.ch/ ছিল WWW এর প্রথম ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে লাইভ আসে ১৯৯১ সালের ৬ই আগাস্ট।
৮। ১৯৯২ সালে প্রথম চিত্র দেওয়া হয় ওয়েবে। সিইআরএন এর ইন হাউস ব্যান্ড লেস হরিবেলস কারনেটসের ছবি ব্যাবহার করা হয়েছিল।
৯। ১৯৯২ সালে ইন্টারনেটে ‘সার্ফ’ শব্দটা জনপ্রিয় করেছিলেন জিন আরমর পল।
আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা
১০। চীন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে সব থেকে বেশি ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সহজে ব্যবহার যোগ্য ও সাবলীল পক্রিয়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সমূহের প্রসার বা বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। আর এভাবেই তারা ইন্টারনেটকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছেন। অনেক সময় সাধারণত এদের অর্থকে গুলিয়ে ফেলা হয় যদিও ইন্টারনেট কখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিশব্দ নয়। ওয়েব হল মূলত ইন্টারনেটের উপর ভিত্তিকরে গড়ে ওঠা একটা এপ্লিকেশন মাত্র।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।