গোটা দেশের সঙ্গে ভাইফোঁটায় মেতে উঠলেন জওয়ানরা

544
The News বাংলা

শিলিগুড়িঃ বুধবার ভাইফোঁটা বা ভাইদুজ উপলক্ষে গোটা দেশের পাশাপাশি শিলিগুড়ির অদূরে ইন্দো-নেপাল সীমান্তেও এই উৎসবে মেতে উঠল স্বশস্ত্রসীমা বল বা এসএসবি’র জওয়ানরা। এদিন এসএসবি’র ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়ানের অনন্তরামজোত ও ভাটগাঁও-এর মহিলা কর্মীরা তাদের পুরুষ ভাই ও সহকর্মীদের ভাইফোঁটা দিয়ে সম্মান জানায়। সেইসঙ্গে মিষ্টি ও উপহারও দেওয়া নেওয়া হয় একে অপরের মধ্যে। এসএসবি’র কমান্ড্যান্ট তাদের সকল কর্মীদের এই ভাইদুজ উপলক্ষে অভিবাদন জানান।

আরও পড়ুন: মায়ের পুজোয় মদ বিক্রিতে রেকর্ড গড়ল মমতার বাংলা

ভাইফোঁটা! এই রীতি অনুযায়ী দিনটিতে বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দন, দই ও কাজলের ফোটা দিয়ে ভাই-বোন উভয় উভয়ের মঙ্গল কামনায় ব্রতী হয়। হিন্দু শাস্ত্রমতে সমস্ত বিপদ আপদ থেকে নিজের ভাই, বোনদের মুক্ত রাখতে দেবী যমুনা তাঁর ভাই যমরাজকে যেমন ফোঁটা দেয়, তেমনই হিন্দু মেয়েরাও সেই যমরাজের হাত থেকে নিজেদের ভাইদের বাঁচাতে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা কাটে।

The News বাংলা

এদিনটি বাংলা সহ গোটা দেশেই পালন করা হয় এক এক নামে। কিন্তু দেশের সীমান্তে যেসব সেনা কর্মীরা দেশকে শত্রুর আক্রমনের হাত থেকে বাঁচাতে পাহাড়া দিচ্ছেন, তাঁরা তাঁদের পরিবার, পরিজন, ভাই, বোনেদের থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। ভাইফোঁটা সহ সমস্ত উৎসবে যখন সাধারন মানুষ যখন মেতে থাকে তখন সেনা জওয়ানরা দেশকে রক্ষা করতে ব্যস্ত থাকে।

আরও পড়ুন: অজানা কাহিনির আড়ালে সিদ্ধপিঠ তারাপীঠের তারা মা

ফলে যমরাজের দুয়ারে কাঁটা দিতে নিজের ভাই বোনেদের সঙ্গ পায় না তাঁরা। তাই সেই উৎসবকে উৎযাপন করলো এসএসবি’র মহিলা সেনা কর্মীরা। তাদের সহকর্মী ভাইদের ফোঁটা দিয়ে। বাড়ি থেকে দূরে আছেন বলে কি বোনের ভাই ফোঁটা পাবেন না ? তাই কখনও হয়। মহিলা সেনা জওয়ানরা এগিয়ে এলেন নিজের সহকর্মীদের দুঃখ দূর করতে। আর তাঁরাও তো নিজের নিজের ভাইয়ের চেয়ে অনেক দূরে। তাই সহকর্মীদেরই ভাই বানিয়ে ফোঁটা দিলেন তাঁরা।

The News বাংলা

শিলিগুড়ি অদূরে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে কর্মরত এসএসবি’র ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা এদিন ভাইফোঁটা বা ভাইদুজ উৎসবে মেতে উঠল। মিষ্টি, উপহার সহ ফোঁটা দিয়ে একে অপরের মঙ্গল কামনায় যমের দুয়ারে কাঁটা দিল এসএসবি’র জাওয়ানরা। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাদের কমান্ড্যান্টও। তাঁকেও ফোঁটা দেন মহিলা জওয়ানরা। অনুষ্ঠান শেষে ফের দেশ রক্ষায় সীমান্তে কর্মরত হন সকলে।

সীমান্তে ওঁরা আছেন বলেই আমরা শান্তিতে বাড়িতে বসে ভাইফোঁটা পালন করতে পারি। ওনারা নিজের নিজের ভাইবোনকে কাছে না পেয়ে একে অপরকে ভাইবোন বানিয়েই আনন্দে মেতে উঠলেন।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন