প্রিন্স এর পর নাদিম। সব মুশকিল আসান ভারতীয় সেনা। আবার কামাল করল সেই ভারতীয় সেনাই। খেলতে গিয়ে টিউবওয়েলের গর্তে পড়ে গিয়েছিল ১৮ মাসের শিশু। সেই শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করল সেনা। ঘটনাটি হরিয়ানার হিসারের। ২০০৬ সালে প্রিন্স আর ২০১৯ এ নাদিম। ফের কামাল সেই ভারতীয় সেনার।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারতমাতা কি জয়’, বলে দলের মধ্যেই ফের বিপদে নেতা
৪৮ ঘণ্টা পর ৬০ ফুট গভীর নলকূপ থেকে জীবিত অবস্থায় তুলে আনা সম্ভব হয়েছে হরিয়ানার হিসারের সেই শিশুটিকে। ৬০ ফুটের যে গর্তে শিশুটি পড়ে গিয়েছিল, তার পাশেই ৭০ ফুটের আর একটি চওড়া গর্ত খোঁড়ে এনডিআরএফ ও ভারতীয় সেনার যৌথ উদ্ধারকারী দল। চওড়া কূপ থেকে পাশের কূপে সুড়ঙ্গ কেটে, সেখান থেকে জীবিত তুলে আনা হয়েছে শিশুটিকে।
জানা গিয়েছে, ওই শিশুটি বাড়ির সামনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে হঠাৎই ওই নলকূপের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে যায়। যে ভাবে পড়ে গিয়েছিল প্রিন্স, আজ থেকে ১৩ বছর আগে, কুরুক্ষেত্রে। তাকে উদ্ধার করতেও সেই ৪৮ ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল সেনা। এবারেও সফল সেই সেনা।
আরও পড়ুনঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে নিশীথের হয়েই প্রচার শুরু বিজেপির বিক্ষুব্ধদের
বৃহস্পতিবার সারা দেশ যখন রঙের উৎসবে মেতে, হরিয়ানার হিসার তখন রাত জেগেছিল এক গভীর কূপের অন্ধকারে তাকিয়ে। বুধবার ৬০ ফুট গভীর কূপে পড়ে যায় ১৮ মাসের এক শিশু। হরিয়ানার হিসারের বালসামান্দ গ্রামে বুধবার টিউবওয়েলের ৬০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে গিয়েছিল দেড় বছরের নাদিম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
স্থানিয় সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে খেলার সময়ে হঠাৎই গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। দিনমজুর বাবা-মায়ের ১৮ মাসের ওই সন্তান গর্তে পড়ে যাওয়ায়, স্থানীয় লোকজন দ্রুত পুলিশে খবর দেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু, অমন কূপ থেকে শিশুকে উদ্ধার পুলিশের কম্ম নয়। দমকলেরও সে অভিজ্ঞাতা নেই।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা রিপোর্টে গত ৫ বছরে তৃণমূল সাংসদদের পারফরম্যান্স লজ্জাজনক
ফলে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এনডিআরএফে খবর যায়। পরিস্থিতি বুঝে শিশুকে উদ্ধারে সেনার কাছেও আর্জি জানায় প্রশাসন। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় এনডিআরএফ ও সেনার উদ্ধারকারী দল। আনা হয় আধুনিক সুড়ঙ্গ কাটার যন্ত্র। উদ্ধারকাজ চলাকালীন বাচ্চাটির শ্বাস নিতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য গর্ত দিয়ে পাইপ নামিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। পাঠানো হয় বিস্কুট ও ফলের রসও।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে ভরা তৃণমূলের তারকা তালিকা নির্বাচন কমিশনে
জানা গিয়েছে, টিউবওয়েলের গর্তের পাশেই আর একটি গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু ২০ ফুট গভীর কাটার পর থামানো হয়। কারণ, শিশুটি মাটি চাপা পড়তে পারত। এরপর তৈরি করা হয় সুড়ঙ্গ। গোটা অভিযানে নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করে ওই শিশুটির উপরে নজর রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ভোটের গানে বিপাকে বাবুল, কমিশনের হাতে টুইট অস্ত্র
ডেপুটি কমিশনার অশোককুমার মীনা জানিয়েছেন, অনুমোদন ছাড়াই গর্তটি খোড়া হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে কুরুক্ষেত্রে এই একই কায়দায় ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছিল পাঁচ বছরের প্রিন্সকে। সেবার কামাল করেছিল ভারতীয় সেনা। ফের একবার কামাল করল ভারতীয় সেনা।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।