সপ্তাহ জুড়ে চলা তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে; হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘরে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। দেশের ওপর দিয়ে তাপ প্রভাবের কারণেই; এই তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা; কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।
দিন আর রাত বলে আলাদা করে কিছু নেই। তীব্র গরমের অসহনীয় কষ্ট; এখন রাজ্যবাসীর নিত্য সঙ্গী। পঞ্জিকার হিসেবে বলছে; এটা বৈশাখের শেষ সপ্তাহ। এরপর জ্যৈষ্ঠমাস অর্থাৎ গ্রীষ্মকে বিদায় জানাতে এখনও দেড় মাস বাকি। সোমবারের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও; বলতে পারবে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর; এমনটাই জানান হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বুদ্ধ পূর্ণিমায় বাংলায় মন্দিরে, স্কুলে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ছক, মমতাকে জানাল কেন্দ্র
গ্রীষ্মের গরম ঠিকই রয়েছে; কিন্তু বৈশাখী ঝড় বা বৃষ্টির দেখা নেই। দিনে মাথার উপর তপ্ত সূর্য; আর রাতে ঘরের মধ্যে গরম বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি। স্বস্তি নেই কোথাও। প্রত্যাশা শুধু একটু বৃষ্টির। বৃষ্টি আনতে ফণীর পর; বায়ু ঘূর্ণিঝড়ের অপেক্ষায় মানুষ।
গত এক সপ্তাহে রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড়; যেখানে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অবশ্যই উত্তরবঙ্গ ধরে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ২৮-২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অর্থাৎ রাত আর দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য মাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রী। আর এরপর পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে; তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে; রাজ্যবাসীকে এই পরিস্থিতি সহ্য করতে হতে পারে; আরও বেশ কিছুদিন। তবে ফণীর পর বায়ু নামের; আরেকটি ঝড়ের অপেক্ষায় অপেক্ষারত রাজ্যবাসী। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে যে; এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টির দেখা মেলার সম্ভাবনাও কম।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে; গত বছরে একই সময়ে গড় যে তাপমাত্রা ছিল; এ বছর তা গড়ে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রী বেশি। এদিকে শুধু রাজ্য নয়; সারাদেশে দাবদাহের চিত্র একইরকম। কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা।
মানুষদের পাশাপাশি পশু পাখিদের প্রাণও হয়ে উঠেছে ওষ্ঠাগত। এই অবস্থায় গরমজনিত নানা রোগ বালাই থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের তরল খাবার; এবং ঠাণ্ডা জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।