এসএসকেএম হাসপাতালে ২০০ জন; এনআরএস হাসপাতালে ১০৭ জন; আরজিকর হাসপাতালে ১০৮ জন। এছাড়াও রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল থেকে; একের পর ডাক্তারের পদত্যাগপত্র পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে। এইভাবে চললে শনিবার থেকেই বাংলার সব সরকারি হাসপাতালে তালা ঝুলবে; বলেই মনে করা হচ্ছে।
মমতার বিরোধিতা করে, গণ ইস্তফা দিতে শুরু করলেন; এনআরএস হাসপাতালের ডাক্তাররাও। গতকালই এনআরএস হাসপাতালের প্রিন্সিপাল প্রফেসর শৈবাল মুখোপাধ্যায় ও সুপার ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর সৌরভ চট্টোপাধ্যায়; ইতিমধ্যেই নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে। শুক্রবার আরও ১০০ জনের বেশি ডাক্তার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন; রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল কাণ্ডে রাজ্যের জবাবদিহি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
শুক্রবারই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে; এবার চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার দাবিতে পদত্যাগ করেন; উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ১১ জন চিকিৎসক। তাঁদের অভিযোগ; কাজের পরিবেশ নেই হাসপাতালে। তাঁরাও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। মেডিসিন বিভাগের পর সার্জারি বিভাগের ডাক্তাররাও; গণ ইস্তফা দেন বলেই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মমতার হুঁশিয়ারির উপেক্ষা করে ডাক্তারদের পাশে বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
এসএসকেএম হাসপাতালে ২০০ জন; এনআরএস হাসপাতালে ১০৭ জন; আরজিকর হাসপাতালে ১০৮ জন ডাক্তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে। উত্তরবঙ্গ ও রাজ্যের অনান্য হাসপাতালগুলি থেকেও দলে দলে ইস্তফাপত্র জমা পরছে স্বাস্থ্য দফতরে।
আরও পড়ুন: এন আর এস কাণ্ডের নিন্দায় শুক্রবার কর্মবিরতি দিল্লির এইমসের ডাক্তারদের
সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে ডাক্তারদের যেন; ইস্তফা দেবার ধূম পরে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হুঁশিয়ারি ও ডাক্তারদের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্যের পরিপেক্ষিতেই; এই সমস্ত ইস্তফা বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। এই ইস্যুতে ব্যপক সমস্যায় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার থেকে কি বাংলার অধিকাংশ হাসপাতালে তালা ঝুলবে? আশঙ্কা কিন্তু অমূলক নয়।