বাংলার সামান্য পুলিশ কনস্টেবলের ফ্লাটে কেজি কেজি সোনা, চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের

495
বাংলার সামান্য পুলিশ কনস্টেবলের ফ্লাটে কেজি কেজি সোনা, চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের
বাংলার সামান্য পুলিশ কনস্টেবলের ফ্লাটে কেজি কেজি সোনা, চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের

বাংলার সামান্য পুলিশ কনস্টেবলের ফ্লাটে; কেজি কেজি সোনা। চক্ষু চড়কগাছ সিবিআই গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যেই গরু-পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে; অনুব্রত মণ্ডলের বিশ্বস্ত দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার সেই সায়গল হোসেনের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল; বিপুল পরিমাণ সোনা। গরু পাচারকাণ্ডে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে; গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারপরই সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, সায়গলের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা; যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সিবিআই আধিকারিকদেরও।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনে সায়গল হোসেনের স্ত্রীর নামে; একটি নয় দু-দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কিলো-কিলো সোনা উদ্ধার হয়েছে; যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। এছাড়াও সায়গল ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে; আরও একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই সব সম্পত্তি ও সোনার আয়ের উৎসের হদিশ দিতে না পারাতেই; গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গলকে।

বৃহস্পতিবার পঞ্চমবারের জন্য সায়গলকে; তলব করেছিল সিবিআই। প্রায় ৬ ঘণ্টা জেরার পর; তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। রাজ্য পুলিশের সামান্য কনস্টেবলের চাকরি করা সায়গল; কোথা থেকে এত টাকা পেল; তার কোনও গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে পারেনি বলেই গোয়েন্দাসূত্রে খবর। গত সপ্তাহে টানা ২ দিন সায়গলের ডোমকলের বাড়িতে; তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব নথি। যাতে জানা গিয়েছে, সায়গলের আত্মীয়দের নামেও রয়েছে; একাধিক সম্পত্তি।

এই প্রসঙ্গে আরও পড়ুনঃ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল সায়গল হোসেন গ্রেফতার, অনুব্রতর রক্ষী হতেই অগাধ সম্পত্তি

গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের সদর দফতর নিজাম প্যালেসে; সায়গল হোসেনকে যখন জেরা করছিলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা; তখনই নিউটাউনে তার একাধিক ফ্ল্যাটেও চিরুনি তল্লাশি চালান হয়। তদন্তকারী আধিকারিকরা সন্দেহ করেন; বেনামে ওই ফ্ল্যাটগুলো কিনেছিল সায়গল হোসেনই। তল্লাশিতে ফ্ল্যাটগুলি থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা; উদ্ধার হয় বলে জানা যাচ্ছে। সায়গলই প্রভাবশালিদের হাতে, গরু পাচারের বিরাট অঙ্কের টাকা; পৌঁছে দিত বলেই অভিযোগ।

অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তার ফোন থেকেই দলের যাবতীয় কাজ; পরিচালনা করেন অনুব্রত। সায়গলের গ্রেফতারি ও তার পরে সোনা উদ্ধারের ঘটনায়; অনুব্রতর ওপর চাপ আরও বাড়ল। শুক্রবারই ধৃত সায়গল হোসেনকে; আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করবে সিবিআই।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন