সারদা দুর্নীতিতে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

463
সারদা দুর্নীতিতে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই/The News বাংলা
সারদা দুর্নীতিতে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই/The News বাংলা

ভোটের মুখে ফের অস্বস্তিতে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। বর্তমানে সিআইডি প্রধানের পদে থাকা রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারের জন্য নতুন করে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল সিবিআই। সারদা দুর্নীতির তদন্তে থাকা এই আইপিএস আধিকারিককে নিজেদের হেফাজতে নিতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যকে না জানিয়ে পুলিশ কর্তাদের সরিয়ে দেওয়ায় মমতার তোপের মুখে নির্বাচন কমিশন

শনিবার শীর্ষ আদালতে সিবিআইয়ের অভিযোগ, শিলংয়ে জেরার সময় কোনওরকম সহযোগিতা করেননি রাজীব কুমার। এমনকি তদন্তেও কোনওরকম সাহায্য করেছেন না তিনি। উলটে সাক্ষীদের প্রভাবিত করছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। তাই দ্রুত রাজীব কুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। সেই মর্মে এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এহেন পদক্ষেপে ফের অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।

আরও পড়ুনঃ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বদল, মমতা ঘনিষ্ঠ অফিসারদের ভোট থেকে দূরে রাখা হল

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল তত্কালীন কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারকে কোনও পরিস্থিতিতেই গ্রেফতার করা যাবে না। সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই।

আরও পড়ুনঃ বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে মমতার পুলিশ দিয়েই ভোট হবে রাজ্যে

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাজীব কুমারকে শিলংয়ে ডেকে জেরা করে সিবিআই। প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরার পরও তাঁদের অভিযোগ, অসহযোগিতা করেছেন রাজীব। শুধু তাই নয়, রাজীব কুমার প্রমাণ লোপাট করছেন বলেও অভিযোগ জানায় সিবিআই। যদিও সিবিআইয়ের ওই আবেদনের ভিত্তিতে এখনও কিছু জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি হবে।

আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য দারুণ সুখবর

শনিবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের তরফে আবেদন দাখিল করা হল। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট, তদন্তে সহযোগিতা না করা সহ একাধিক অভিযোগ সিবিআইয়ের। আর তাই প্রাক্তন এই পুলিশ কমিশনারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে আবেদনে জানিয়েছে সিবিআই।

আরও পড়ুনঃ ঘাসফুলে ভোট দিলে শান্তি পাবে মায়ের আত্মা, সুচিত্রার নাম করে ভোট প্রার্থনা মুনমুনের

কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে শিলংয়ে পাঁচদিন কথা বলার পর মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। ২৭ মার্চ সেই শুনানিতে স্টেটাস রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের মন্তব্য ছিল, রিপোর্টে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ‘গুরুতর’।

আরও পড়ুনঃ মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই মতই সেদিন হলফনামা পেশ করে সিবিআই। হলফনামায় সিবিআই দাবি করেছিল, চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে সিট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার দেওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফারাক। বেশ কিছু কল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে ৪টি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড আংশিক মুছে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ মোদী সরকারের উদ্যোগে ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ সম্মান মনোনয়নে বাংলার দুর্গাপূজা

সিবিআইয়ের দাবি, ওই রেকর্ড বারবার চাওয়ার পরেও তাদের হাতে দেয়নি সিট। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এই চারটি কল রেকর্ডের কোনওটির ১১ মাস, কোনওটির ১০ মাসের কল রেকর্ড নেই। এই সমস্ত বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি তখন জানতে চান শিলংয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করে যা পাওয়া গিয়েছে সেই তথ্য কোথায়?

আরও পড়ুনঃ শনি রবি সপ্তাহ শেষের দুই দিন দফায় দফায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দক্ষিনবঙ্গে

প্রশ্নের জবাবেই তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী একটি হলুদ খামে সেই জেরার স্টেটাস রিপোর্ট তুলে দেন আদালতের কাছে। সেই রিপোর্ট পড়ার পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই রিপোর্টে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অত্যন্ত গুরুতর”। সেদিনের পর শনিবার ফের অস্বস্তি বাড়ল রাজীব কুমারের।

আরও পড়ুনঃ চিত্র পরিচালক, লেখক ও বিজ্ঞানীদের পর এবার ৬০০ নাট্যকর্মী ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে

যেনতেন প্রকারেণ পুলিশকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। তাই এদিন সর্বোচ্চ আদালতে রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করার জন্য আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে অসহযোগিতা-সহ বেশ কিছু অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য, এর আগে সারদা মামলায় রাজীব কুমারের কাছে নথি তলব করে সিবিআই। তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তা ঋষিকুমার শুক্লা।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন