পুরুলিয়ার পারার মহাদেবপুরে ঝুপড়িতে আগুন লেগে একই পরিবারের ৭ জন ঘুমন্ত দগ্ধ। এরা প্রত্যেকেই কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা বলেই জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে ৪ শিশুও রয়েছে।
পুরুলিয়ার পারা থানার মহাদেবপু্রে ওই ঝুপড়িতে আগুন লেগে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, খেজুর গাছের রস পেড়ে বিক্রি করার জন্য গ্রামের বাইরে ঝুপড়ি তৈরী করে থাকত তারা। কাশিপুর এলাকার এই বাসিন্দারা ওই খেজুর রস সংগ্রহ করতেই ঝুপড়িতে থাকছিল বলে জানা গেছে।
জানা গিয়েছে, মৃতরা মূল গুড় ব্যবসায়ী। খেজুর গাছের রস থেকে গুড় বানান তাঁরা। পুরুলিয়ার কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও কাজের কারণেই পারা এলাকায় তালপাতার ঘর বানিয়ে থাকছিলেন তাঁরা। গাছ থেকে খেজুর রস নামিয়ে জাল দিয়ে গুড় বানাতেন তাঁরা।
গতকাল গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ঝুপড়িতে আগুন ধরে গেলে ঘটনাস্থলেই তারা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। পারা থানার পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে পাঠায়। কিভাবে সাত জন এক ঝুপড়িতে থেকে মারা গেল দেখছে পুলিশ। আগুন কি ভাবে লাগল বা কেউ লাগিয়ে দিয়েছে কিনা তাও দেখছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর ওই ঝুপড়িতে আগুন লাগে। ঘর থেকে বেরোতে পারেননি কেউই। সাত জনেরই মৃত্যু হয়। ঝুপড়ির ভিতরেই ঝলসে যান তাঁরা। এলাকা ফাঁকা হওয়ায় তাঁদের আর্তনাদ স্থানিয়দের কানে প্রথমে পৌঁছয়নি। যতক্ষণ স্থানিয়রা আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে যান, ততক্ষণে সব শেষ। তারাই আগুন নিভিয়ে দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠান।
প্রাথমিকভাবে দমকলকর্মীরা মনে করছেন, ঝুপড়িতে থাকা কেরোসিন তেলের হ্যারিকেন থেকেই আগুন লেগেছে। আবার প্রাথমিক তদন্তে এটাও উঠে এসেছে, আগুন পোহানো থেকেই এই আগুন লেগেছে। আগুন পোহানর পর ভাল করে সেই আগুন না নিভিয়েই ঘুমিয়ে পরেছিলেন মৃতরা। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তারা মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পরেছিলেন কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। এলাকায় শোকের পরিবেশ নেমে এসেছে।