শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও থাকবে বুথে। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না, সেখানে শুধুই রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। পরিস্কার জানিয়ে দিল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার দফতর। আর তাই দেখেই বিভিন্ন জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুনঃ ঘাসফুলে ভোট দিলে শান্তি পাবে মায়ের আত্মা, সুচিত্রার নাম করে ভোট প্রার্থনা মুনমুনের
তৈরী হয়ে গিয়েছিল পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা নির্দেশিকার আকারে চলে গিয়েছিল জেলায়। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের সেই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি আছে নির্বাচন কমিশনের। সূত্রের খবর তেমনটাই। নতুন করে পরিকল্পনা তৈরির জন্য কোচবিহারের তাই আনা হলো নতুন পুলিশ অবজারভার।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বদল, মমতা ঘনিষ্ঠ অফিসারদের ভোট থেকে দূরে রাখা হল
দুজন পুলিশ অবজারভার এখন জেলায়। প্রথম দেখার ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দেবেন বলে সূত্রের খবর। শুক্রবারই নতুন পুলিশ অবজারভার শুরু করে দিয়েছেন কাজ। কিন্তু বুথে থাকবে রাজ্য পুলিশও, এই ঘোষণায় ‘মোদী মমতা চুক্তি’ নিয়ে সরগরম বাম ও কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ ঘাসফুলে ভোট দিলে শান্তি পাবে মায়ের আত্মা, সুচিত্রার নাম করে ভোট প্রার্থনা মুনমুনের
লোকসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ বুথেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথগুলোতেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। বাকি সব বুথে থাকতে চলেছে রাজ্য পুলিশের অস্ত্রধারী কনস্টেবলরা। ইতিমধ্যেই ADG আইন শৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সহ বেশ কিছু জেলার পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন ভোটের সুরক্ষা ব্যবস্থার প্ল্যান।
আরও পড়ুনঃ মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন
সেই চিঠি বলছে, এবার লোকসভা ভোটে সুরক্ষার প্রশ্নে প্রাধান্য পাবে রাজ্য পুলিশ। আর এক কিম্বা দুই বুথ থাকা ভোট প্রেমিসেসে শুধুমাত্র থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন চার কিংবা পাঁচ বুথ বিশিষ্ট পোলিং প্রেমিসেসে থাকবে শুধুই রাজ্য পুলিশ। আর এই ঘোষণার পরেই তৃণমূল- বিজেপি ঘোঁট নিয়ে মুখ খুলেছে বামেরা।
আরও পড়ুনঃ মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন
ADG আইন-শৃঙ্খলা প্রথম দুই দফা ভোটের জন্য যে বিন্যাস পাঠিয়েছেন, তা বলছে জলপাইগুড়ির যে অংশে প্রথম দফায় ভোট হবে তার ২৪৪ টা প্রেমিসেসের ৩০৫ টি বুথে থাকবে মাত্র ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে বুথে মোতায়েন থাকবে মোট ৬ সেকশন অর্থাৎ ৪৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য।
আরও পড়ুনঃ মোদী সরকারের উদ্যোগে ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ সম্মান মনোনয়নে বাংলার দুর্গাপূজা
কুইক রেসপন্স টিমে থাকবে ৪ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। বুথে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে থাকবে ১৫ জন লাঠিধারী হোমগার্ড। কোচবিহারে ১৬৬৮ টি পোলিং প্রেমিসেসে থাকা ২২৬২ টি বুথে থাকবে ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে বুথে মোতায়েন করা হচ্ছে ৪১ সেকশন বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় উচ্চবর্ণের জন্য অতিরিক্ত ২% কর চাপাচ্ছে সমাজবাদী পার্টি
কুইক রেসপন্স টিমে থাকবে ১০ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর স্ট্রংরুম পাহারার দায়িত্বে থাকবে তিন সেকশন। আলিপুরদুয়ারে মোতায়েন হচ্ছে ৩ কোম্পানি বাহিনী। তার মধ্যে বুথে থাকবে ১৭ সেকশন, কুইক রেসপন্স টিমে ৮ সেকশন, স্ট্রং রুম পাহারার দায়িত্বে তিন সেকসন কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশের তরফে ৬৯ জন ইন্সপেক্টর কাজ করবেন ভোট সুরক্ষার। তবে সব বুথেই থাকছে সশস্ত্র পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া যে বুথ গুলিতে ভোট হবে তাতে থাকতেন সশস্ত্র কনস্টেবলরাই।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বদল, মমতা ঘনিষ্ঠ অফিসারদের ভোট থেকে দূরে রাখা হল
সিদ্ধিনাথ গুপ্তার পাঠান নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর। সূত্র জানাচ্ছে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি অলক কুমার রায়কে শুধুমাত্র কোচবিহার লোকসভার জন্য পুলিশ অবজারভার করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। আগে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার এর জন্য একজন পুলিশ অবজারভার নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি বিনোদ কুমার।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেসের সভায় মুসলিম লীগের পতাকা, ভাইরাস বলে কটাক্ষ যোগীর
ঠিক হয়েছে বিনোদ শুধুই আলিপুরদুয়ারের পুলিশ অবজারভারের দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলে স্পেশাল পুলিশ অবজারভার বিবেক দুবে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শনিবার দিল্লির নির্বাচন সদনে একটি বৈঠক করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে আহমেদ প্যাটেলের নাম, সনিয়া রাহুলকে তুলধোনা নরেন্দ্র মোদীর
বিবেক দুবে প্রথম দফার ভোট সহ গোটা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে খবর। সূত্র জানাচ্ছে, প্রথম দফার নিরাপত্তার বিষয়টিতে তার মতামত গুরুত্ব পাবে কমিশনের কাছে। তবে লাঠিধারী পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে বুথে থাকা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বাম ও কংগ্রেস। বিজেপি কেন এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না, প্রশ্ন তাঁদের। তাহলে কি দিদি- মোদী ঘোঁট হয়েছে? প্রশ্ন বাম ও কংগ্রেসের।
আরও পড়ুনঃ চিত্র পরিচালক, লেখক ও বিজ্ঞানীদের পর এবার ৬০০ নাট্যকর্মী ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।